Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা পেল আড়াই কোটি টাকা

চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা পেল আড়াই কোটি টাকা

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার জন্য দুই কোটি ৫৪ লাখ সাত হাজার টাকা ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে থোক বরাদ্দ হিসেবে এ অর্থ ছাড় করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে (২০২২-২০২৩) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলাসমূহের জন্য উন্নয়ন সহায়তা থোক খাতে বরাদ্দ আছে ৬৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ বরাদ্দের প্রথম কিস্তি বাবদ ৪৯২টি উপজেলার জন্য ছাড় করা হয় ৮৫ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলাও রয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক জানান, মঞ্জুরিকৃত অর্থ উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণে উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথভাবে মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়ন ও ব্যান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার জন্য ১৭ লাখ ৯ হাজার টাকা, আনোয়ারার জন্য ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা, বাঁশখালীর জন্য ১৮ লাখ দুই হাজার টাকা, বোয়ালখালীর জন্য ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, চন্দনাইশের জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ফটিকছড়ির জন্য ২১ লাখ ১৪ হাজার টাকা, হাটহাজারীর জন্য ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, লোহাগাড়ার জন্য ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, মীরসরাইয়ের জন্য ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, পটিয়ার জন্য ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা, রাঙ্গুনিয়ার জন্য ১৮ লাখ এক হাজার টাকা, রাউজানের জন্য ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা, সন্দ্বীপের জন্য ২১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, সাতকানিয়ার জন্য ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জন্য ১৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সামছুল হক একই বিভাগের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারকে দেয়া অর্থ মঞ্জুরি প্রদান পত্রে কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে এবং ব্যয় বিবরণী ২০২৩ সালের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে। তবে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। বরাদ্দের অধীন অনুমোদিত স্কিম এবং প্রচলিত আর্থিক রীতি-নীতি অনুযায়ী ব্যয় নির্বাহ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট বিল দাখিলপূর্বক সরকারি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ করতে হবে। -আজাদী প্রতিবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!