Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | গণপিটুনি : ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করছে পুলিশ

গণপিটুনি : ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করছে পুলিশ

renu-20190721190012

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয় হত্যার ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। স্কুলের দোতলা থেকে করা একটি মোবাইলের ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় ও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

শনিবার (২০ জুলাই) সকালে ওই ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে পুলিশ। গণপিটুনি বন্ধে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তাও পাঠিয়েছে। তবে সারাদেশের গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি।

এদিকে ঘটনাস্থলে ধারণকৃত একটি মোবাইলের ফুটেজে দেখা যায়, ওই নারীকে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার পর মুহূর্তেই লোক জড়ো হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। তবে স্থানীয় চার-পাঁচ যুবক তাকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছিল ও এলোপাতাড়ি লাথি মারছিল। ভিডিওর ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই সে অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পুলিশের বাড্ডা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহমেদ হুমায়ূন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা ও মোবাইলে ধারণকৃত কিছু ফুটেজ যাচাই-বাছাই করছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে মামলা যেহেতু হয়েছে, জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবেই।’

এদিকে এ ঘটনায় উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সংগ্রহ করা হয়েছে স্কুলে প্রবেশপথসহ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।

এ ঘটনার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ আশপাশের লোকজনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। তবে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।’

রেনুর পরিবার জানায়, আড়াই বছর আগে রেনুর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে তিনি মহাখালী ওয়ারলেসের বাসায় থাকতেন। তিনি আড়ং ও ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। শুক্রবার রাতেও তিনি পরিবারের লোকজনকে জানান, তুবা বাসায় অনেক দুষ্টুমি করে তাই তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেবে।

শনিবারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলার বাদী ও রেনুর ভাগনে নাসির উদ্দিন বলেন, “খালার (রেনু) আচরণ সন্দেহ হওয়ায় নাকি স্কুলের বাইরে থেকে হট্টগোল শুরু হয়। ৩-৪ মিনিটের মধ্যে পুরো মানুষে ভরে যায়। এ সময় স্কুলের মাঠে থাকা অভিভাবকদের সন্দেহ হলে তারা খালাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে যায়। পরে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্কুলের আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় দোতলায় থাকা প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে খালাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে গণপিটুনি দেয়া হয়।”

এর আগে শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তি করতে গিয়ে অভিভাবকদের গণপিটুনির শিকার হন মানসিক রোগে আক্রান্ত তাসলিমা বেগম রেনু। চার বছর বয়সী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ি ফিরেছেন লাশ হয়ে। -জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!