Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | খালেদাকে বিদেশে নেয়ার আবেদনের বিষয়ে মতামত আজ নয় : আইনমন্ত্রী

খালেদাকে বিদেশে নেয়ার আবেদনের বিষয়ে মতামত আজ নয় : আইনমন্ত্রী

নিউজ ডেক্স : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদনের নথিপত্র হাতে এসেছে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আজকে তো আর হবে না। শিগগিরই আমরা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।’

বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর গুলশানে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। জাগো নিউজ

তিনি বলেন, ‘ফাইলটি এইমাত্র এসেছে আপনারা দেখেছেন। সেটি আমি এখনও পড়িনি। আপনারা অপেক্ষা করছেন বলে এলাম। আমি ফাইলটি দেখব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা তা হলো, এর আগে ওনার (খালেদা) দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারায়। ৪০১ ধারা কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারপর আবার এটাকে ওপেন করার সুযোগ আছে কি-না সেটা আমরা দেখব। সেটা দেখে আমরা অভিমত দেব। আজকে তো আর হবে না। যথাশিগগিরই আমরা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।’

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে, এই দুই শর্তে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ মে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে শামীম ইস্কান্দার আবেদনটি দিয়ে আসেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়ার শেষ হয়ে এলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!