কাদের খানের বাড়িতে লিটন হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল

নিউজ ডেক্স : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানের বাড়ি থেকে একটি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, উদ্ধার করা পিস্তলটি এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুন্দরগঞ্জের ছাপারহাটিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ আবদুল কাদের খানের গ্রামের বাড়ির আঙিনার মাটি খুঁড়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, কাদের খানের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী তার বাড়ির উঠানের গর্তে রাখা একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, লিটন হত্যায় তিন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে কর্নেল কাদের খান একটি পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলি আগেই জমা দিয়েছিল। নতুন উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি নিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি অস্ত্র পেল পুলিশ। তৃতীয় অস্ত্রটি উদ্ধার করতেও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক গতকাল চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, সাংসদ মনজুরুল হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ আবদুল কাদের খান। তার ইচ্ছা ছিল, মনজুরুলকে সরিয়ে পথ পরিষ্কার করে পরবর্তী সময়ে সাংসদ হবেন।

মঙ্গলবার বগুড়া শহরের রহমান নগরের বাড়ি থেকে কাদের খানকে গ্রেফতারের পর গতকাল গাইবান্ধার আদালতে তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানবাড়ী) গ্রামের ওই বাড়িতে অভিযান শুরু হয়। পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে চালানো হয় তল্লাশি। বাড়ির সামনের তিনটি পুকুরের পানি মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়েও অভিযান চালানো হয়। তবে রাত পর্যন্ত অভিযানে কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কাদের খানের দেয়া তথ্য অনুসরণ করে ওই বাড়ির উঠানে একটি গর্তের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই গর্ত থেকেই উদ্ধার করা হয় একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিন।