ব্রেকিং নিউজ
Home | উন্মুক্ত পাতা | করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও করণীয়

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও করণীয়

অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান : করোনা ভাইরাস নিয়ে রয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। সারা পৃথিবী জুড়ে মহামারী আকারে ছড়ানো এই ভাইরাসের সংক্রমণে সকলেই প্রায় ধরাশায়ী। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ডিজিজ কন্ট্রোল ডিভিশনের’ সদ্য প্রকাশিত (৩০. ০৩. ২০২০) জাতীয় গাইড লাইনের আলোকে করোনা নিয়ে কিছু আলোচনার চেষ্টা করবো। আশা করি অনেকের কাছে বিষয়টি নিয়ে সংশয় ও অজানা অধ্যায়গুলো যথাসামান্য হলেও পরিষ্কার হবে। এ আলোচনায় ব্যাখ্যার সুবিধার্থে কিছু ইংরেজি শব্দ লিখতে হয়েছে। এর যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ আমি নিজ থেকে ব্যবহার করেছি, কখনো তা সর্বজন স্বীকৃত নাও হতে পারে।

Corona Virus Disease 2019 যেহেতু এটি ২০১৯ এর করোনা সংক্রমণ তাই সংক্ষেপে (COVID-19) নামে পরিচিত। করোনা ভাইরাস হলো একটি RNA ভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি সদস্য যার অনেকগুলো উপদল রয়েছে এবং এরা মানুষ ও স্তন্যপায়ী (বাদুর, উট) প্রাণীদের সংক্রমণ করে থাকে। RNA virus খুব দ্রুত নিজেদের জিনের গঠন বদলাতে পারে (Mutation), আর এভাবে চেহারা বদলাতে বদলাতে ক্রমে এটি অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।এদের আচরণ বদলানোর ভয়ংকর বিষয়গুলো মানুষের কল্পনার বাইরে। সে জন্য কোন একটি নির্দিষ্ট আকার-আকৃতির ভাইরাসের গঠন ধরে নিয়ে ভ্যাক্সিন বানানো বিজ্ঞানীদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চীন দেশের উহানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুসের আবরণ থেকে সমপ্রতি ভাইরাসের যে সদস্যটি আবিষ্কার হয়েছে তাকে Severe Acute Respiratory Syndrome Corona virus 2 বা সংক্ষেপে SARS Cov2 নামে অভিহিত করা হয়েছে যা পূর্বে ‘বিটা করোনাভাইরাস” নামে পরিচিত ছিলো। SARS Cov2 হলো করোনা পরিবারের সপ্তম সদস্য যা মানুষের সংক্রমণের জন্য দায়ী।এটিই এখন করোনা সংক্রমণের প্রধান জীবাণু।এই পরিবারের অন্যতম ঘাতক আর একটি ভাইরাস হলো Middle Eastern Respiratory Syndrome যা MERS-Cov নামে পরিচিত।

Case DefinitiW়n রোগের সংজ্ঞা রোগের লক্ষণগুলো একজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে নানা উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। রোগ সনাক্তকরণের জন্য নিভর্রযোগ্য বিষয়টি হলো ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয়। তবে রোগের বিস্তার ও রোগটি চিন্‌িহত করার সুবিধার্থে রোগের নানা সংজ্ঞা নিরুপন করা হয়েছে।

Case Definition (রোগ আছে বলে ধারণা)

# যদি রোগীর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থাকে (জ্বর কিংবা কমপক্ষে একটি লক্ষণ যেমন কাশি, কষ্টদায়ক শ্বাস এবং বিগত ১৪ দিনের ভিতর COVID-19 আক্রান্ত দেশে ভ্রমনের ইতিহাস থাকে; অথবা

# কোন ব্যক্তি/ স্বাস্থ্য কর্মীর যদি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থাকে এবং গত ১৪ দিনের ভিতর Probable Case বা Confirmed COVID-19 Case এর সংস্পর্শে আসে অথবা

# যদি রোগীর খুব বেশী শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ থাকে (জ্বর কিংবা কমপক্ষে একটি লক্ষণ যেমন কাশি, কষ্টদায়ক শ্বাস এবং যার হাসপাতালে ভতির্র প্রয়োজনীয়তা থাকে এবং নানা পরীক্ষায় বর্তমান রোগটি অন্যরোগ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।

Probable Case (সম্ভাব্য রোগ)

# যদি রোগ আছে বলে Suspected Case বা ধারনাকৃত ব্যক্তির বেলায় তার টেষ্ট কোন প্রকার সিদ্ধান্তে (inconclusive) উপনীত হতে না পারে অথবা

# Suspected Case বা ধারণাকৃত ব্যক্তির বেলায় তার টেস্ট কোন কারণে করা সম্ভব হয় নাই।

Confirmed Case নিশ্চিত রোগ

রোগের লক্ষণ যাই হোক না কেন যার COVID-19 টেষ্ট পজিটিভ, তাকে নিশ্চিত রোগ হিসাবে গণ্য করা হবে।

Contact (রোগের সংস্পর্শ)

# সেই ব্যক্তি হলো Contact (রোগের সংস্পর্শ) যার কোন রোগের লক্ষণ নাই কিন্তু যিনি Probable Case বা Confirmed Case এর ধারে কাছে বা সংস্পর্শে ছিলেন।

# যিনি Probable Caseev Confirmed Case এর রোগের লক্ষণ প্রকাশের ২ দিন আগে বা রোগের লক্ষণ প্রকাশের ১৪ দিনের ভিতর ঐ রোগীর ধারে কাছে বা সংস্পর্শে ছিলেন।

Contact বা সংস্পর্শ বলতে যা বুঝায় তা হলোঃ

# যিনি Probable Caseev Confirmed Case এর মুখোমুখি অবস্থানে ১ মিটার দূরত্বে ১৫ মিনিট ছিলেন

# যিনি Probable Caseev Confirmed Case এর শারীরিক সংস্পর্শে ছিলেন

# যিনি Probable Caseev Confirmed Case এর সেবা দিয়েছেন যথাযত আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া(Without PPE)

# স্থানীয়ভাবে নির্ধারিত কোন রিস্ক ফ্যাক্টর(যে দেশে যা প্রযোজ্য) থাকলে।

Clinical Syndrome Associated with COVID-19

রোগের লক্ষণকে বিভিন্ন ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে

# Mild Illness (Influenza like Illness-ILI) সাধারণ লক্ষণ( ফ্লুর মতো লক্ষণ)

শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ যা অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো যাতে, সাধারণত জ্বর, ক্লান্ত্‌‌ কাশি(যাতে কফ থাতে পারে বা নাও থাকতে পারে, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, ক্ষুধা মন্দা, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা। কখনো অল্পক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমিভাব কিংবা বমি হতে পারে।

# Pneumonia (নিউমোনিয়া)

# Adult বা বয়স্কদের বেলায়ঃ নিউমোনিয়া রোগ সনাক্ত হয়েছে, কিন্তু অক্সিজেন দেয়ার প্রয়োজন হয় নাই

# Child বা শিশুদের বেলায়ঃ কাশি, শ্বাস কষ্টের সাথে যদি দ্রুত শ্বাস বা Fast Breathing থাকে। দ্রুত শ্বাস হলোঃ < ২ মাস ≥৬০/মিনিট, ২-১১ মাস≥৫০/মিনিট এবং ১-৫ বছর ≥৪০/মিনিট # Severe Pneumonia(মারাত্মক নিউমোনিয়া) # Adult বা বয়স্কদের বেলায় : জ্বরের সাথে সম্ভাব্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ সাথে নীচের যে কোন একটি # শ্বাসের হার> ৩০/মিনিট

মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, SPO2 বা রক্তে অক্সিজেন মাত্রা ≤৯৩% রুমের বাতাসে, Child বা শিশুদের বেলায়ঃ কাশি অথবা শ্বাসকষ্টের সাথে নীচের যে কোন একটি, Central cyanosis বা শরীর নীল বর্ণ অথবা SPO2 বা রক্তে অক্সিজেন মাত্রা ≤৯০%, মারাত্মক শ্বাস কষ্ট (Severe respiratory distress) গলায় ঘড়ঘড় শব্দ, মারাত্মক বুক দেবে যাওয়া, খিচুনী, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নেতিয়ে পড়া বা একেবারে খেতে না পারা এমনকি তরল খাবার পর্যন্ত

এ সময় নিউমোনিয়ার অন্য লক্ষণগুলো যেমন

# কাশি, শ্বাস কষ্টের সাথে যদি দ্রুত শ্বাস বা Fast Breathing থাকে। দ্রুত শ্বাস হলোঃ < ২ মাস ≥৬০/মিনিট, ২-১১ মাস≥৫০/মিনিট এবং ১-৫ বছর ≥৪০/মিনিট থাকতে পারে # ARDS(Acute Respiratory Distress Syndrome) শ্বাসতন্ত্রে আবরণ সৃষ্টিকারী খারাপ লক্ষণ এখানে রোগাক্রান্ত হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্টের পরিমান দ্রুত অবনতি হবে এবং বুকের এক্সরে, সিটিস্কান, এম আর আই এর মাধ্যমে রোগ সনাক্ত হবে, SPO2 বা রক্তে অক্সিজেন মাত্রাভেদে এর Mild, Moderate, Severe হিসাবে ভাগ করা হয়। # Sepsis-এটা সম্পূর্ণ ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস, এর বিষদ আলোচনা মেডিকেল সংশ্লিষ্ট নয় তেমন সকলের জন্য উপযোগী ও যথাযত নয় বলে আলোচনা করা হলোনা।তবে এখানে শ্বাসতন্ত্র ছাড়াও রোগটি শরীরের অন্যান্য তন্ত্রে ছড়িয়ে যাবে, শরীরের নানা রাসায়নিক উপাদানের তারতম্য হবে । # Septic Shock-এটা সম্পূর্ণ ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস, এর বিষদ আলোচনা মেডিকেল সংশ্লিষ্ট নয় তেমন সকলের জন্য উপযোগী ও যথাযত নয় বলে আলোচনা করা হলোনা। এখানে রোগীর রক্তচাপ কমে যাবে, শরীরের নানা রাসায়নিক উপাদানের তারতম্য হবে, প্রস্রাব কমে যাবে, তাপমাত্রা কমে যাবে বা জ্বর বেড়ে যাবে। কি কি পরীক্ষা করা হয়ঃ নাকের শ্লেষা, মুখের ভিতর থেকে কফ বা শ্বাসতন্ত্র থেকে নানা উপাদান রোগের লক্ষণের ৩-৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করলে টেষ্ট ভালো হয়।নেগেটিভ টেষ্ট হলেও নির্ধারিত রোগীর বেলায় বারবার টেষ্ট করতে হয়। এছাড়া বুকের Xray,MRI,CT Scan, Ultrasonography’র মাধমে রোগের লক্ষণ সনাক্ত করা যায়।এর বাইরে চিকিৎসকের প্রয়োজনে CBC, Liver/Renal Function test, Serum LDH, Ferritin করা হয়ে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির নিয়ামক : বয়স্কদের বেলায় কয়েকটি নিয়ামক যেমন Confusion, Respiratory Rate≥30/minute, Blood pressure ( Systolic<90mm, Diastolic ≤60mm), Age≥ 65 এই ৪ টি নিয়ামকের প্রতিটি ১ স্কোর ধরলে মোট স্কোর হবে ০-৪। একে CRB-65 score বলে। যার স্কোর ০ তাকে বাড়ীতে চিকিৎসা দিতে হবে, যার স্কোর ১-২ তাকে হাসপাতালে নেয়ার দরকার, আর যার স্কোর ৩-৪ তাকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শিশুদের বেলায়ইনিউমোনিয়া পর্যন্ত বাড়ীতে চিকিৎসা দিতে হবে যথাযত ব্রডস্পেক্ট্রাম এন্টিবায়োটীক দিয়ে। মারাত্মক বা সিভিয়ার নিউমোনিয়ার বেলায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। করণীয়ঃ # Mild Illness (Influenza like Illness-ILI) এদের বেলায়ঃ # বাড়ীতে বিশ্রাম। বাড়ীতে আলাদা কক্ষে আইসোলেশনে থাকবেন। যদি বাড়ীতে সেবাদানকারী না থাকেন বা বাড়ীতে লোক সংখ্যার তুলনায় রুম কম বা লোক সমাগম বেশী তাঁদের জন্য নির্ধারিত ‘আইসোলেশন হাসপাতালে” ভর্তি হতে হবে। # বাড়ীতে লোকজনের আগমন থাকবেনা। # বারবার হাত ধুতে হবে( সাবান দিয়ে প্রতিবার ২০ সেকেন্ড সময় ধরে) # কাশি হলে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে,টিসু ব্যবহার করতে হবে, পুন্রায় হাত ধুতে হবে # মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে # লক্ষণভেদে : জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১+১+১ ( শিশুদের বেলায় প্রতি ৮ কেজি ওজনের জন্য ১ চামুচ সিরাপ), এন্টিহিস্টামিন( ফেক্সফেনাডিন ১২০মিগ্রাম ০+০+১; শিশুদের জন্য গাইডে বলা হয় নাই), গরম জলীয় ভাপ শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহন, গড়গড়া করা, হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়া। # সুস্থ হওয়ার পর বাড়ীতে ১৪ দিন অবস্থান করা # যদি শ্বাসকষ্ট কিংবা কাশী আরো খারাপ হয়, মানসিক বিভ্রান্তি হতে থাকে এবং শরীর প্রচন্ড অবসাদে ভরে উঠে তবে ঐ রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে। # হাসপাতালে অবস্থানকালে বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এখানে তা আলোচনার কোন সুযোগ নেই। তবে Antiviral (জাপানে ব্যবহার হয়েছে),ক্লোরকুইন বা হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইনের(চীনে ব্যবহার করা হয়েছে) ব্যবহারে যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত উদাহরণ নেই। # শুধুমাত্র ICU caregiver ব্যক্তিরা N95, FFP2 mask ব্যবহার করবেন ও চচঊ ব্যবহার করবেন. বাকী মেডিকেল ষ্টাফগণ সারজিক্যাল/মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন। এসময় তারা গ্লাভস, গাউন, চোখের জন্য নির্ধারিত চশমা পরবেন। # সকলের জন্য হাটে বাজারে গাউন পরে চলাচল প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র হাসপাতালে রোগীর সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের কর্মীরা চচঊ পরবেন। বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্যঃ যদি মা Suspected, Probable, Confirmed হয়ে থাকেন তাহলে তিনি তাঁর শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারবেন। এসময় তিনি যথাযত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা বজায় রাখবেন এমনকি তিনি আরো অসুস্থ হলেও গলানো দুধ শিশুকে খাওয়াতে পারবেন, সেক্ষেত্রে মা’কে শিশুর কাছ থেকে আলাদা করে নিতে হবে। সকলের জন্য করণীয়: # যেহেতু আক্রান্ত রোগী থেকে এটি ছড়ায়, তাই যে কারো এ রোগ হতে পারে। সে জন্য সমাজে দ্রুত রোগ ছড়ানো বন্ধ করার জন্য নেয়া হয়েছে “লক ডাউন” কার্যক্রম। আওম্রা যদি বাইরের পরিবেশ থেকে নিজেদের সকলকে সরিয়ে নেই তাহলে ভাইরাসটি কাউকে আক্রমনের সুযোগ পাবেনা। পস্পরের সান্নিধ্যে না আসলেই কেবল একজন থেকে অন্যজনের ভিতর এটি ছড়াতে পারবেনা। তাই প্রতিকুল পরিবেশে এটি একসময় মরে যাবে। তাই # যে যার বাড়ীতে থাকুন, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ যাবেননা। # জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, অন্যদের তা করতে বলুন। # চাখানার আড্ডা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখুন। # হাত,মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন; এক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার করুন(কম্পক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুবেন)। # দেশের সকল জনগনের অহেতুক গ্লাভস পরার প্রয়োজন নাই। # স্যানিটাইজার ব্যবহার জরুরী নয়, সংগ্রহে থাকলে ভালো; সাবান-পানি নেই অমন স্থানে তা ব্যবহার করুন । # পথে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস্কই যথেষ্ট। বারবার ধুয়ে ব্যবহার করা যায় তেমন মাস্ক হলেও চলবে। # হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন, টিস্যু ব্যবহার করুন, প্রয়োজন সাপেক্ষে পুনরায় হাত ধুয়ে ফেলুন। # বাড়ীতে অহেতুক অতিথি আগমন বন্ধ করুন। লেখক : অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!