নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারে স্বামীর সাথে আনন্দ ভ্রমণে এসে বিধবা হয়ে ফিরলেন রাজধানীর মিরপুরের গৃহবধূ ফারজানা আকতার (২৫)। শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের রাস্তায় ভ্যান গাড়িতে বিক্রি করা ‘ফিশ ফ্রাই’ (ভাজা মাছ) খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফারজানার স্বামী ফেরদৌস আলম খান সৌরভ (৩৫)।
রাত ১০টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। আজাদী
সৌরভ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মসজিদ সড়ক এলাকার মৃত নবিউল আলম খানের ছেলে। তিনি চাকরি সূত্রে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্প আহম্মদ নগর পাইকপাড়া এলাকায় থাকতেন। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে স্ত্রী ফারজানা আকতার (২৫) যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন।
ফারজানা জানান, শুক্রবার সকালে তারা কক্সবাজারে পৌঁছে কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল কক্স-ইন-এর ৩০৪ নং কক্ষে উঠেন। সারাদিন সমুদ্রে গোসল ও ঘোরাঘুরি করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে তারা হোটেল থেকে বের হয়ে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে ডাব ও ফিশ ফ্রাই খান। এর কিছুক্ষণ পর অসুস্থ বোধ করেন সৌরভ। তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে দেখানো হলে তাদের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক এসএম নাওশাদ রিয়াদ বলেন, ‘ওই পর্যটককে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগ অথবা খাবারে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান কবির বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হলেও পরে প্রয়াতের স্বজনরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তরের আবেদন জানায়। তাদের আবেদনে শনিবার বিকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফেরদৌস আলম খান সৌরভ ও ফারজানার বিয়ে হলেও দাম্পত্য জীবনের তাদের কোনো সন্তান নেই।