কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী দাখিল মাদ্রাসায় মকবুল আহমদ নামের এক রোহিঙ্গা শিক্ষকের হাতে ধর্ষণ চেষ্ঠার শিকার হয়েছে আরেক রোহিঙ্গা ছাত্রী। ওই ছাত্রী জখম প্রাপ্ত হয়ে কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ট ক্যাম্পের এম.আর.সি নং- ৬৭৯৫, ব্লক-এফ, শেড নং- ১২ এর আবদুল জলিলের কন্যা ও বালুখালী দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষন চেষ্টাকারী শিক্ষক মকবুল আহমদ কুতুপালং ক্যাম্পের ব্লক ডি এর আবদুস শুক্কুরের পুত্র। সে বালুখালী দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে রাজাপালং ফাজিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করে শিক্ষক হিসেবে চাকুরীরত রয়েছে। ২৬ ফেব্র“য়ারী বেলা ১২ টার দিকে শিক্ষক কক্ষে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে একা ডেকে ধর্ষন চেষ্টা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে। এ ঘটনা স্থানীয়রা জানতে পেরে ওই ছাত্রীর পিতা আবদুল জলিল স্থানীয় মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরীকে ঘটনার স্ববিস্তার জানিয়ে প্রতিকার চায়। তখন মেম্বার ন্যায় বিচারের স্বার্থে ঘটনাটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও সুপার বরাবর পাঠালে উল্টো পরিচালনা কমিটির কতিপয় বিএনপি নেতা ও শিক্ষকরা ধর্ষন চেষ্টার শিকার ছাত্রীর পিতাকে শারিরীক ভাবে নাজেহাল করে তাড়িয়ে দেন এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে পরিণিত খারাপ হবে বলে হুমকি দেন। এমন তথ্য জানতে পেরে নুরুল আবছার চৌধুরীকে পুণরায় অবগত করলে তিনি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানাকে অবহিত করেন বলে জানান। অভিযোগ রয়েছে বালুখালী দাখিল মাদ্রাসায় ৩ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী রয়েছে। তৎমধ্যে ২ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করে পরিচালনা কমিটি শিক্ষা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। যা সরকারের নিয়ম বহির্ভূত বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বালুখালী দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুস সালাম এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে অস্বীকার করে এড়িয়ে যান।