নিউজ ডেক্স : গুলতাজ খাতুন। বয়স ২৫ ছুঁই ছুঁই। জন্মলগ্ন থেকে হাঁটাচলা করতে পারেন না। বাবা মৃত জালাল আহাম্মদ মারা গেছেন বেশ আগেই। হাটহাজারী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গুলতাজ। চলাচলে অক্ষম মেয়েটিকে নিয়ে মা কোনোমতে কষ্ট করে সংসার চালান।
মা কাজে গেলে মেয়েটিকে মেঝেতে শুইয়ে রেখেই যেতে হয়। এতে সে কান্নাকাটি করে। মেয়েটির চলাচলের জন্য একটা হুইল চেয়ার খুবই প্রয়োজন পড়ে। হুইল চেয়ার কিনবে কীভাবে, সংসার চলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন মা।
রোববার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টা। হাটহাজারী উপজেলায় দীর্ঘ কর্মযজ্ঞের ইতি টানবেন ইউএনও রুহুল আমিন। সবার কাছ থেকে বিদায় নেবেন এমন সময় এক ভদ্রলোক এসে গুলতাজ খাতুনের দুরবস্থার কথা জানান। তার মেয়ে চলাফেরা করতে অক্ষম। মেয়ের জন্য একটা হুইলচেয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবদার। সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওর নিজস্ব অর্থায়নে সেই অক্ষম মেয়েটি পেল চলাফেরার পাথেয় হুইল চেয়ার। সেই সঙ্গে নগদ ৫ হাজার টাকা।
গুলতাজের মা বলেন, ‘টিনো (ইউএনও) রুহুল আমিন সাব চলে যাবেন। আমার মেয়েটার একটা হুইলচেয়ার দরকার ছিল। এ খবর শুনে আমার মেয়ের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করেন। ৫ হাজার টাকাও দিয়েছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
হাটহাজারী উপজেলার সদ্যবিদায়ী ইউএনও রুহুল আমিন, আমি সবার থেকে বিদায় নেব এমন সময় এক ভদ্রলোক আমার সঙ্গে দেখা করতে চান এমন খবর আসে। আমি নিশ্চিত কোনো বিপদ হয়েছে। লোকটির সঙ্গে কথা বলি। তিনি সব খুলে বলার পর মেয়েটির জন্য একটি হুইলচেয়ার ও ৫ হাজার টাকার অর্থসহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। বাংলানিউজ