Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আধুনিক দাসত্বের ফাঁদে ৫ কোটি মানুষ

আধুনিক দাসত্বের ফাঁদে ৫ কোটি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মহামারী, যুদ্ধ আর জলবায়ু সংকট গত পাঁচ বছরে মানুষের রোজকার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে; নতুন এক গবেষণা বলছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা অনেক দেশেই লাখ লাখ মানুষকে আধুনিক দাসত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে এখন বাধ্যতামূলকভাবে দাসের মত শ্রম দিতে হচ্ছে কিংবা জবরদস্তি বিয়ের শিকার হতে হয়েছে, যা ২০১৬ সালের সবশেষ পরিসংখ্যানের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।
গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), ওয়াক ফ্রি এবং ইন্টারন্যাশনাল ওরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

আধুনিক দাসত্ব কী? : সিএনএন লিখেছে, কোনো হুমকি, আক্রমণ ও প্রতারণার ফাঁদে আটকে বিয়ে করতে কিংবা শ্রমদাসের জীবনযাপনে দিতে বাধ্য হওয়াকে আধুনিক দাসত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। ১৮০টি দেশে জরিপ চালিয়ে সেই বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছেন ওই তিন সংস্থার গবেষকরা। তারা বলছেন, কোভিড-১৯, সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু বদলের মত বিপর্যয়ে কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাখাতে নজিরবিহীন দুর্দশা দেখা দিয়েছে দেশে দেশে। বেড়ে গেছে দারিদ্র্য, ঝুঁকিপূর্ণ দেশান্তর এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা। আর এ সবই আধুনিক দাসত্বের কারণ হয়ে উঠছে।

আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকে কোনো কিছু দিয়েই বৈধতা দেওয়া যায় না। আমরা জানি কী করতে হবে। এবং আমরা জানি তা করা সম্ভব। কার্যকর জাতীয় নীতিমালা ও আইন এখানে প্রাথমিক শর্ত। যদিও কোনো সরকারের পক্ষে একা এসব করা সম্ভব নয়।

গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, নারী, কন্যাশিশু এবং অরক্ষিত মানুষদের সুরক্ষা দিতে শক্তিশালী আইন করার পাশাপাশি সব রকমের সহযোগিতার কাঠামো তৈরি করা হলে তা আধুনিক দাসত্ব কমিয়ে আনবে; এমনকি একদিন এর ইতিও ঘটাবে। খবর বিডিনিউজের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!