ব্রেকিং নিউজ
Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ মাহমুদুল হক পিয়ারুর

আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ মাহমুদুল হক পিয়ারুর

55632782_1941472029308573_5373740717136936960_n

এলনিউজ২৪ডটকম : চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে সংশোধিত ব্যালট পেপারে তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীক বাদ দিয়ে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগ এনেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হক পিয়ারু। গত ২৯ মার্চ সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ইং লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। যথানিয়মে তিনি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ, ২৮ ফেব্র“য়ারী ২০১৯ বাচাইকালে ভূয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে ঋণ খেলাপি এবং ২৫০জন ভোটার তালিকায় ২জন ভোটারের স্বাক্ষর নেই মর্মে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে বলে অভিযোগ এনে বলেন, তিনি কোন সময় ঋণ খেলাপি ছিলেননা। আগ্রাবাদস্থ ষ্টান্ডার্ড ব্যাংকের যে শাখার মাধ্যমে তাঁকে ঋণ খেলাপি দেখানো হয়েছে ঐ ব্যাংকে তাঁর কোন একাউন্ট এবং লেনদেন ছিলনা দাবী করে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম বাতিল করার দিনই তিনি ব্যাংকের উক্ত শাখা থেকে ঋণ খেলাপি নয় মর্মে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। এছাড়া দু’জন ভোটারের স্বাক্ষর না থাকার যে কারন উল্লেখ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন দাবী করে তিনি বলেন, ২৫৭ জন ভোটারের স্বাক্ষর যুক্ত তালিকা প্রদান করলেও কোন সুনিদিষ্ট কারণ ছাড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, পরে আপিল কর্তপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে ১ মার্চ মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার আপিল দায়ের করলে শুনানী শেষে ৪ মার্চ অশুভ চক্রের ইশারায় আপিল কর্তৃপক্ষও সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা না দেখিয়ে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার আদেশ বহাল রাখেন। জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা এবং আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে কোন সুবিচার না পেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের (যাহার নং ২৬৬৬/২০১৯) করলে ৭ মার্চ উক্ত রিটের শুনানীকালে মাননীয় বিচারপতি শেখ হাছান আরিফ ও মাননীয় বিচারপতি রাজিক আল জলিল এর দ্বৈত বেঞ্চে তাঁর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে তাঁকে চেয়ারম্যান পদে যথানিয়মে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি¦তা করতে কোন বাধা নেই মর্মে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করেন। আদেশ প্রাপ্ত হয়ে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা তাঁকে ১১ মার্চ “মোটর সাইকেল” প্রতীক বরাদ্দ দেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত বরাদ্দকৃত মোটর সাইকেল প্রতীক প্রদর্শন করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়ে পুরো লোহাগাড়া উপজেলায় তাঁর পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন ও গণজোয়ার দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক তাঁর পক্ষে প্রদত্ত মনোনয়ন বৈধ আদেশের বিরুদ্ধে গত ১৯ মার্চ লিভ টু আপিল দায়ের করলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী ৪ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক আগামী ৪ এপ্রিল শুনানীর দিন ধার্য্য ঘোষণার প্রেক্ষিতে নিয়ম-মাফিক জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনভাবে নিবার্চনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন না। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যালট সংশোধন পূর্বক আগামী ৩১ মার্চ লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নিবার্চনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। সংশোধিত ব্যালটে তাঁর প্রতীক “মোটর সাইকেল” বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে আমাকে কোন সদুত্তর দেয়নি।

নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের শিকারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ দুই দশক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার পাশাপাশি গরীব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যথাসাধ্য সাহায্যের কথা উল্লেখ করে তিনি কোন সময় কোন রকম সন্ত্রাসী, হানাহানি এবং জঙ্গিমূলক উগ্র কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক আগামী ৩১ মার্চ একতরফা নির্বাচন জনস্বার্থে স্থগিত ঘোষণা করে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আগামী ৪ এপ্রিল শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য প্রধান নিবার্চন কমিশনার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, অন্যথায় উক্ত নিবার্চন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ও জাতির নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!