নিউজ ডেক্স : ফেনীর পরশুরামে অভিনব কায়দায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৫ বছর আগে ফুলগাজীর খালেদা ইসলাম অমির সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়ির আবুল হাসেমের ছেলে প্রবাসী লিখন আহমেদের। জাগো নিউজ
খালেদার মা শাহেন আরা বেগম জানান, ৭ আগস্ট রাতে খালেদাকে সাপে কাটে। খালেদা বিষের যন্ত্রণায় ছপফট করলেও তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরদিন বিকেলে পাশের এলাকার একজন সাপুড়ে এনে পুনরায় সাপ দিয়ে আমার মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ভিডিও ও ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমি দ্রুত মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খালেদাকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর খালেদাকে স্বামীর বাড়িতে না দিয়ে আমার ফুলগাজীর বাড়িতে নিয়ে আসি।
গৃহবধূর মা আরও জানান, সাপে কাটার পর চিকিৎসা না পাওয়ায় আমার মেয়ে বোবা হয়ে গেছে। আমার মেয়ে এখন কোনো কথা বলতে পারছে না।
খালেদাকে বাড়িতে নিয়ে আসার খবর পেয়ে লিখনের মাসহ আরও কয়েকজন আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমরা বাধা দেই। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে৷ এ বিষয়ে আমি ফুলগাজী থানায় মামলা করেছি।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএনএম নুরুজ্জামান জানান, গৃহবধূকে নির্যাতন ও হামলার ঘটনায় মামলার পর পুলিশ চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আসামি হাসিনা আক্তার ও তার স্বামী আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।’