নিউজ ডেক্স : বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনের প্রায় আড়াই হাজার চাকরিপ্রার্থীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সুপারিশ করার জন্যে হাইকোর্টের দেয়া ১০ পৃষ্ঠার নির্দেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) এই আদেশের অনুলিপি এনটিআরসিএ দফতরে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। জাগো নিউজ
এর আগে গত ৩১ মে এনটিআরসিএ-কে উত্তীর্ণ সনদধারী ২৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে চার সপ্তাহের মধ্যে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সুপারিশ করতে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএ’র জারি করা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ওইদিন সেই স্থগিতাদেশ রিকল বা মডিফাই করে তুলে নেন আদালত। একইসঙ্গে এনটিআরসিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের নিয়োগের সুপারিশের রায় বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদন নিষ্পত্তি করে দেন আদালত। বিষয়টি শুনানির জন্য আগামী চার সপ্তাহ পর হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে জানানো হয়।
গত ৩১ মে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন, আদালত অবমাননার আবেদনকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। আর এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারীদের নিয়োগ সুপারিশের রায় বাস্তবায়ন না করায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে প্রথমে আমরা ১৫০০ শিক্ষকের পক্ষে আবেদন করেছিলাম। পরে পর্যায়ক্রমে আরও শিক্ষক ওই আবেদনে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি। তাই ওইদিন উচ্চ আদালত তার আদেশে আড়াই হাজার শিক্ষককে নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য বলেছেন।
এর আগে গত ২৩ মে শুনানি শেষে আদেশের জন্য ৩১ মে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত। তারই ধারাবাহিতায় ২৫০০ শিক্ষককে চার সপ্তাহ সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।