
নিউজ ডেক্স : দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের প্রায় ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। যা ১০-১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আহরণ।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার দিকে জোয়ারের সময় মা-মাছের কিছু নিষিক্ত ডিম বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা পেলেও শুক্রবার (২২ মে) সকাল থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়ে বড় বড় মা-মাছগুলো।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বিকেল সোয়া তিনটায় বলেন, চবি হালদা রিসার্চ ল্যাব, মৎস্য অধিদফতর ও উন্নয়ন সংস্থা আইডিএফের তিনটি টিম এবার মা-মাছের ডিম সংগ্রহের কর্মযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছে। আমাদের সম্মিলিত হিসাবে ২৮০টি নৌকায় ৬১৫ জন ডিম সংগ্রহকারী এবার মাছের ডিম সংগ্রহ করেছেন। সব মিলে তারা এবার ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। যা গত ১০-১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, ২০১৯ সালে হালদা থেকে ৭ হাজার কেজি, ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল। সচরাচর ৪০-৬০ কেজি ডিম থেকে এক কেজি রেণু হয়। এটি নির্ভর করে ডিম সংগ্রহকারীদের তৎপরতা, আবহাওয়া, লবণাক্ততার পরিমাণ, তাপমাত্রা, অভিজ্ঞতা, পরিচর্যা ও পরিবেশের ওপর। চার দিন পর রেণু উৎপাদনের বিষয়ে আমরা স্পষ্ট ধারণা পাবো।
এবার হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া গেছে বেশি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, ডিম সংগ্রহের পর থেকে শুরু হয়েছে রেণু ফোটানোর কর্মযজ্ঞ। ব্যস্ত সময় পার করছেন বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ ডিম সংগ্রহকারীরা। দ্রুত বড় হয় বলে হালদার পোনার চাহিদা বেশি মাছচাষিদের কাছে।
তিনি জনান, ডিম ছাড়ার পর মা-মাছগুলো খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় যাতে কেউ মাছশিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। বাংলানিউজ