Home | অন্যান্য সংবাদ | স্মার্টফোন ও কম্পিউটার শিশুর মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে

স্মার্টফোন ও কম্পিউটার শিশুর মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে

Negative-Effects-Of-Social-Media-On-Children

নিউজ ডেক্স : স্মার্টফোন বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটে, দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়। সার্বিকভাবে মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) গবেষকরা বেশিমাত্রায় স্মার্ট ডিভাইস বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা শিশুদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করে ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্ন পাওয়ার পর এসব কথা বলছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে ৯ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের অনেকেই দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা এমন ডিভাইস ব্যবহার করে, যা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে।

গবেষকরা অন্তত সাড়ে চার হাজার শিশুর মস্তিষ্ক স্ক্যান করে বিষয়টি জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা। গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২০১৯ সালের শুরুতে প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ ও সদ্য বিদায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার জাগো নিউজকে বলেন, গবেষণা প্রতিবেদনটি সময়োপযোগী। বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ শিশু কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে গেমস খেলতে পছন্দ করে। আর বাবা-মা তাদের জ্বালাতন বাঁচতে হাতে ধরিয়ে দেন স্মার্টফোন বা ওই ধরনের অন্যান্য ডিভাইস। আর শিশুরা স্ক্রিনে চোখ রেখে কাটিয়ে দেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অবশ্য আগে থেকেই চিকিৎসকরা বলে আসছেন, বেশিক্ষণ স্ক্রিনে চোখ রাখা যে কারও জন্যই ক্ষতিকর। আর ছোটদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও বেশি ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, জেনেশুনে শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনা ঠিক না। প্রতিটি মা-বাবাকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে এনআইএইচের চিকিৎসক গায়া ডোলিং বলেন, স্মার্ট ডিভাইসের স্ক্রিনে দীর্ঘসময় চোখ রাখার ফলে শিশুদের মস্তিষ্কের প্যাটার্ন অন্যরকম হয়ে যায়। স্মার্ট ডিভাইস মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে।

উল্লেখ্য, এনআইএইচ বলছে, যেসব শিশু দিনে অন্তত দুই ঘণ্টা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে তাদের ভাষার প্রয়োগ ক্ষমতা তেমন ভালো হয় না। আবার কোনো কিছু যুক্তি দিয়ে বিচার ক্ষেত্রেও অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকে। তারা আস্তে আস্তে বাবা-মার প্রতিও বিরক্ত হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!