Home | অন্যান্য সংবাদ | স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত?

স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত?

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : বিয়ের জন্য নারী-পুরুষের বয়সের ব্যবধানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দুই বছরের ব্যবধানে সম্পর্ক মধুর হয়। আবার কারো কারো তা হয় ১০ বছরের ব্যবধানে। বেশিরভাগ নারী জীবনসঙ্গী কয়েক বছরের বড় হোক, এমনই চান। অনেকের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক সুন্দর হয়। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসলে বিয়ের জন্য নারী-পুরুষের বয়সের ব্যবধান কত হওয়া জরুরি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

৫-৭ বছরের ব্যবধান:

বয়সের এমন ব্যবধান থাকলে দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া, বিবাদ, ভুল বোঝাবুঝি কম হয়। দুজনের মধ্যে একজন যদি পরিণত বয়সের হয় তবে সে সম্পর্ক শক্ত হাতে ধরে রাখে। বয়সের এই ব্যবধানকে বিয়ের জন্য আদর্শ বলে মনে করা হয়। কারণ এতে একে অপরকে খুব কাছে থেকে বোঝা সম্ভব হয়।  

১০ বছরের ব্যবধান:

অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ মনে করা হয়, যদি দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে। যখন তারা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঠিক করে নেবে তখন এই ১০ বছরের ব্যবধান কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন বয়সের ব্যবধানে স্ত্রী স্বামীর ওপরে কোনো কথা বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়।

২০ বছরের ব্যবধান:

আপাতদৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই বয়সের ব্যবধান আদর্শ নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছেন যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরের বেশি। এই ব্যবধানে লক্ষ্য, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পরিবর্তন হয়। সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে। বয়স্ক সঙ্গী দ্রুত সন্তান নিতে চাইবে। সেক্ষেত্রে কম বয়সী সঙ্গী আগ্রহী হবে না। তাদের চিন্তাধারার পার্থক্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

বয়সের ব্যবধান কতটা প্রভাব ফেলে:

বয়সের ব্যবধান সম্পর্কে অনেকটাই প্রভাব ফেলে। কারণ এতে মতামতের বিশাল পার্থক্য থাকে। তবে বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সাধারণত বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয় দম্পতিরা তত বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়। এজন্য বয়সের ব্যবধান কম হলেই তাকে আদর্শ ধরা হয়।

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!