শুভ্রা নীলাঞ্জনা : ভাবছি নীলক্ষেত যাব। বাল্যশিক্ষা অথবা আদর্শলিপি বই পাওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখব। আমার তিনি ছোটবেলা যা পড়েছিল বড় হওয়ার সাথে সাথে সব ভুলে গেছে। কালো কে কালো বলতে হয় না, খাটো কে খাটো বলতে হয় না । কারো বড় পেট দেখে মুচকি মুচকি মুচকি হাসতে হয় না। নিজের ঘনচুল থাকলে কারো পাতলা চুল নিয়ে মস্করা করতে হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি।বিয়ের কয়দিন পড় মনে হয় ১৫ দিনের মাথায় বলে বসল, তুমি তো বেশী লম্বা না মুখটা অনেক সুইট তাই লম্বাটা নিয়ে মাথা ঘামাই নাই। আমি কিন্তু এত খাটো ও না । ৫ফিট ২ ইঞ্চি। তখন এতো নাদান ছিলাম যে মুখ ফুটে কথাটা বলতেও পারলাম না। ভাবখানা খাটো মেয়েকে বিয়ে করে আমাকে উদ্ধার করছে। মনে মনে বললাম কি ভাবরে আমার! কম করে হলেও ১০০ টা ছেলে আমাকে বিয়ে করতে চাইছে তোমার কপাল ভালো যে তোমার সাথে শেষ পর্যন্ত আমি বিয়ে বসতে রাজি হইছি,! তাও বাবার ভয়ে । অত্যন্ত ভদ্র মেয়ে ছিলাম বলে কিছু বলি নাই। ওইদিনই আমার চলে যেতে ইচ্ছে করছিল। অপমানে তখন শুধু চোখটা জ্বালা করে উঠছে। বিয়ের ২বছরের মাথায় আমার ছেলে হওয়ার পর আমি একটু নাদুস নুদুস হয়ে গেলাম। মুচকি মুচকি হাসে আর বলে “তোমার পেট গা” তো ভালই গোল হইছে আমাগো দেশের রামের মার মত। অপমান সহ্য করে এবার ও থেকে গেলাম । কাল আমি উল্টা করে চুল শুকাচ্ছি , চুল উল্টা করলে তো ছোটই দেখায়। ওমা পিছন থেকে বলে উঠছে তুমি শাহরুখ খানের মত একটা পনিটেল বাধঁলেই পারো ! এই গুলি সহ্য হয় ? এই নিয়ে তিন /তিন বার আমার চলে যেতে ইচ্ছে করছিল । কিন্তু এখন আর কই যাব ? শাড়ি, গয়না, আরাম আয়েসের কথা চিন্তা করে এবারও থেকে গেলাম । লোকটা এইরকমই একদম যা-তা । আমি কেন যে এতো ভালো হৈলাম যা তা জেনেও হা হা হি হি করতে করতে যাতা ‘র সাথে সাড়া জীবন ই থেকে যাব ভাবলেই আমার সুখ সুখ কান্না পায়।