নিউজ ডেক্স : সমুদ্র বিজয় ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মহাকাশ যাত্রার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রা এখন সমুদ্রের তলদেশ থেকে মহাকাশে পৌঁছে গেছে। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে।
রবিবার দুপুর গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সে গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ ফেরিঘাটসহ কয়েকটি ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধকালে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতা নিজের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি অতীতের সরকারগুলোর সমালোচনাও করেন। ২০০১ থেকে ২০০৭ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়টি নষ্ট হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমরা আবার ক্ষমতায় আসি। এরপর দেশকে আমরা উন্নয়নশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি।’
পঁচাত্তরের পরবর্তী জিয়া-এরশাদ সরকারের সমালোচনাও করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা যুদ্ধাপরাধী, দেশটা স্বাধীন হোক যারা চায়নি তারা দেশটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ ২১ বছর পর্যন্ত দেশের মানুষ কষ্টে ছিল বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
জাতির পিতা নদীপথগুলো সচল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু ১৬টি ড্রেজার কিনে দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অল্প খরচে, সহজে নৌপথে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব। নদী সচল না থাকলে বাংলাদশে থাকবে না। নদী ড্রেজিংয়ের কথা প্রথমে যখন আমি বলতাম তখন অনেকে গুরুত্বই দিতো না। এটা জাতির পিতার কাছ থেকেই শুনেছি।’
নদী সচল রাখার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদীকে আমরা শরীরের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। শরীরের কোথাও রক্ত সঞ্চালন পথে ব্লক হলে মানুষ মরে যা। নদীপথগুলোও এভাবে বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশ থাকবে না।’
নদী সুরক্ষায় বিএনপি সরকারের কোনো মনোযোগ ছিল না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মংলা সমুদ্রবন্দর তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। সুন্দরবনে যত ক্ষুদ্র খাল ছিল বন্ধ করে সেখানে চিংড়ি চাষ শুরু করে। আমি ক্ষমতায় এসে সেই খালগুলো কাটার নির্দেশ দিই। সেগুলো কাটা এতটা সহজ ছিল না। অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল, তবুও আমরা করেছি।’
পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় ও প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সংযুক্ত হন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি ভিডিও কনফারেন্সে ‘শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু’ উদ্বোধন করেন।