ফিরোজা সামাদ : শুভ্রতা, হ্যাঁ শুভ্রতা ! নামে যেমন শুভ্রতা, দেখতে তার চেয়েও সূচী শুভ্র নিষ্পাপ নিটোল একটি মুখ। ডাগর দু’টি চোখ যেনো মমতা কেড়ে নেয়। মনে হয় শুভ্র নীলাকাশ দেখছি। প্রথম যেদিন দেখেছিলাম কতোই বা বয়স.. এই ১২/১৩ কিশোরী বয়স ! সদ্য লাজ ধরা দেয় দেয় এমনি সময় ! ঘার অবদি ছোট চুল, টিকলো নাক, কোকিল কন্ঠি, কথা বললে তরঙ্গায়িত হয় কানের ভীতর, অার ওই যে বললাম শুভ্রতা ? হাসিতে ওর মুক্তো ঝরে, যেনো ক্লোজআপ এর বিজ্ঞাপন !!
সুন্দরী মেয়েরা লেখাপড়ায় সাধারনত একটু অমনোযোগী হয়ে থাকে। শুনেছি শুভ্রতারও ক্ষেত্রেও তাই হলো। কলেজ পাড় হতে না হতেই বিয়ে হয়ে গেলো প্রবাসী এক ডাক্তারের সাথে । বিয়ের কয়েকদিন পরই চলে গেলো স্বামীর সাথে প্রবাসে। এতটুকুনই জানতাম শুভ্রতা সম্পর্কে । ওকে একদিনই দেখেছিলাম । একই শহরে থাকলেও অার দেখা হয়নি।

তারপর পেরিয়ে গেছে ২৫/৩০ বছর। এক নজর দেখা শুভ্রতাকে অার মনে রাখিনি। অামিও চাকুরীর সুবাদে সেই শহর থেকে এই শহর বদলী হতে হতে পিছনের অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম। তারপর, একদিন ফেসবুকে একটি মেয়ের মুখ অাকৃষ্ট করলো অামায়। মনে হলো এই মুখটি অামি কোথায় যেনো দেখেছি ! টাইম লাইনে ঢুকে বরিশালের মেয়ে বোঝা গেলেও, নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তাই ওর ফ্রেন্ডলিষ্টে অামার চেনা একজনকে অাইডিটা পাঠাতেই পরিস্কার হলো। এই তো সেই কিশোরী শুভ্রতা । যদিও ফেসবুক অাইডি অামার অপরিচিতা নামে।
ওকে জানতে খুব কৌতুহল হলো। তাই একটু খোঁজ নিয়ে যা জানলাম তাতে অামি সেই ছোট্ট কিশোরী অাকর্ষনীয়া শুভ্রতাকে দেখে যতোটা না অবাক হয়েছিলাম,তার চেয়ে ঢের বেশি অাশ্চর্য হলাম ! কোথায় যেনো একটা কষ্ট খোঁচাতে থাকলো অামার অাবেগী মনটাকে……… (চলবে)