এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে পাচারকালে মহাবিপন্ন প্রজাতির খাঁচাবন্দি একটি উল্লুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় দুই পাচারকারীকে। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় অস্থায়ী চেকপোষ্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের আবদুল মজিদের পুত্র মো. মাজহারুল (৩২) ও একই জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকার আবদুল জলিলের পুত্র মো. মমিন (২৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশী করা হয়। এ সময় একটি মহাবিপন্ন প্রজাতির খাঁচাবন্দি উল্লুকসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত উল্লুক চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জে হস্তান্তর করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ।
চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত প্রাণীটির নাম গিবন উল্লুক। এটি মূলত: গাছের মগডালে বসবাস করে। প্রাণীটি খুবই বিপন্ন প্রজাতির। দেশের মুষ্টিমেয় কয়েকটি বনাঞ্চলে গিবন উল্লুক দেয়া যায়। এরা ফলমূল ও পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে। উদ্ধারকৃত প্রাণীটি পর্যবেক্ষণের জন্য ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখানকার বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪(খ) ধারা অনুযায়ী বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় ও আমদানি-রপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গ্রেপ্তারকৃতরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিরল প্রজাতির উল্লুকটি পাচার করার কথা স্বীকার করেছে। অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও প্রতিজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরণের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সাথে ছিলেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন, এসআই মো. সাজিব হোসেন ও চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।