এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় মোঃ আশরাফ উদ্দিন শাকিল (৩০) নামের ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। লোহাগাড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রভাত কর্মকারের বিরুদ্ধে লেনদেনের বিনিময়ে এ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ মে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাকিল উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মফিজ কোম্পানী পাড়ার আব্দুল মিয়া ওরফে ডাকাত আব্দুল্লাহর পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনারদিন দুপুর দেড়টার দিকে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তার এক সহযোগীসহ আসামী শাকিল চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সম্মুখস্থ একটি কুলিং কর্ণারের সামনে দাঁড়ান। এমন সময় লোহাগাড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রভাত কর্মকারের নেতৃত্বাধীন সঙ্গীয় ফোর্স তাকে সেখান থেকে পাচঁলাইশ থানার একটি ডাকাতি মামলায় (পাচঁলাইশ থানার মামলা নং-৭৪৪/১২) ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর থানায় নিয়ে আসার পথে লেনদেনের বিনিময়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী শাকিলকে ছেড়ে দেয় এসআই প্রভাত কর্মকার। এছাড়াও আসামী শাকিলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় চুরির মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। কোতোয়ালি থানার মামলা নং – ১১০৬(১২)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চুনতি ইউপির ২নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে এসআই প্রভাত কর্মকার শাকিল নামের একজনকে গ্রেফতার করে সিএনজিযোগে নিয়ে যেতে দেখেছি। তবে, শাকিল জামিনে আছে বলে শুনেছি। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কামাল জানান, চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির সামনের একটি কুলিং কর্ণার থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করেছে এসআই প্রভাত কর্মকার। শাকিলের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানার ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে এসআই প্রভাত কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, আমি চুনতি বাজার এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান নামের এক আসামীকে আটক করেছি। পরে, রি-কল দেখানোর পর তাকে মুক্তি দিই। শাকিল নামের কাউকে আমি গ্রেফতার করিনি। একই বিষয়ে লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল জলিল বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
এ ব্যাপারে চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জনু সাংবাদিকদের জানান, এসআই প্রভাত কর্মকার শাকিল নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। তবে, এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছুই জানি না। তবে শাকিল ছেলে ভালো না। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনা যায়।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমি আসলে এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এদিকে, উপজেলার দক্ষিণ চুনতির আবদুল মিয়া ওরফে আবদুল্লাহর ছেলে আশরাফ উদ্দীন শাকিলের বিরদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থাকার একটি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে থানা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমি তাকে অনেকদিন ধরে খুঁজছি।