এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ২টি ভ্রাম্যমাণ সিএনজি স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি ৫টি কাভার্ডভ্যান ও ৬০১টি গ্যাস সিলিন্ডারে ৪ হাজার ৬শ কেজি তরল গ্যাস। এ সময় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ এলাকার মৃত নুরুল হকের পুত্র মো. এনামুল হক (২৩) ও সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চিববাড়ি এলাকার মোজাফফর আহম্মেদ সিকদারের পুত্র লোকমান হোসেন (৩৮)।
বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে সদর ইউনিয়নের কাজির পুকুর পাড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) র্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তারা দীর্ঘদিন যাবত নিয়মবহির্ভূত ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিশেষভাবে নির্মিত সিলিন্ডারযুক্ত কাভার্ডভ্যানের ভিতর তরল গ্যাস সংগ্রহ করে অবৈভাবে ভ্রাম্যমাণ রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন করে। গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি কাভার্ডভ্যান সিএনজিতে রূপান্তর কারখানা স্থাপন করে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় বিক্রি করে আসছিল। অভিযানের সময় গ্রেপ্তারকৃতরা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়া তাদের কাছে বিস্ফোরক অধিদপ্তরেরর কোন অনুমোদনও ছিল না।
মো. নুরুল আবছার জানান, কাভার্ডভ্যানে সিলিন্ডার উঠানামা, খোলা ও সংযোজনের সময় অসাবধানতা বশত: বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। হতাহত পারে সাধারণ লোকজন। তাছাড়া কাভার্ডভ্যানগুলোতে ছিল না অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, মানহীন সিলিন্ডারগুলোতে নেই কোন টেস্টিং ও রি-টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা। গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনে মামলা রুজু করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।