নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে প্রথম ধাপে লোহাগাড়াসহ ৬ উপজেলায় ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। প্রথম ধাপে কর্ণফুলী, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলায় তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ২৩ এপ্রিল থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত। হালনাগাদের পাশাপাশি ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে অক্টোবর থেকে। চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ করতে হবে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান জানান, প্রথম ধাপে ৬ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে সব উপজেলায় চলবে। মহানগরীতে শুরু হবে অক্টোবর-নভেম্বরে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারী আবুল খায়ের জানান, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় তথ্য সংগ্রহের জন্য ৬৪৮ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১৩৭ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ২৩ তারিখ থেকে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই ৬ উপজেলায় যেসব নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হবে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ১৬ মে থেকে।
প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও ২০১৮ সালে হালনাগাদ করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে গত বছর হালনাগাদ হয়নি বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তারও আগে, তারা হালনাগাদে নিবন্ধিত হতে পারবেন। ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি যাদের জন্ম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত, তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এবারের হালনাগাদে তারা ভোটার না হলেও পরবর্তীতে তাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হলে তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
অন্যদিকে, ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তারা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন দুই বছরের আগাম তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র : দৈনিক আজাদী