এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার বিভিন্নস্থানে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা। টানা ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কবে বিদ্যুতের দেখা মিলবে। লোহাগাড়া সদরে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসে, বিদ্যুতের এ ভেল্কীবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ভূক্তভোগীর। ভূক্তভোগীরা অনতিবিলম্বে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালাপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। খুটি ভেঙ্গে গেছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তারা নিরলসভাবে কাজ করছেন। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ আসবে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “লোহাগাড়া উপজেলা চট্টগ্রাম” ফেসবুক গ্র“পে “গতকাল (শুক্রবার) থেকে লোহাগাড়ার কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ নেই দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন” এমন একটি পোষ্টে বিভিন্ন জনের কমেন্ট সূত্রে জানা যায়, পুটিবিলা এমচরহাট, কলাউজান, আমিরাবাদ সুখছড়ি, পদুয়া ৩নং ওয়ার্ড, আমিরাবাদ রাউজন্যা পাড়া, পশ্চিম আমিরাবাদ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পেটানের পাড়া, চরম্বা মাইজবিলা, চুনতি সাতগড়, উত্তর আমিরাবাদ, পদুয়া আলী সিকদার পাড়া, সেনেরহাট, চুনতি বাজার, আধুনগর, পুটিবিলা, চরম্বা নোয়ারবিলা, রাজঘাটা, নাফারটিলা বাজার, দরবেশহাট শাহপীর পাড়া, সুখছড়ি, কামারদিঘীর পাড়, পুটিবিলা নাথ পাড়া, গৌড়স্থান, বড়হাতিয়া চাকফিরানী দুর্লভের পাড়া, পূর্ব পদুয়া হাঙ্গরকুল, চরম্বা তেলিবিলা, পশ্চিম হিন্দু পাড়া, আধুনগর আখতারিয়া পাড়া, চরম্বা খালেকের দোকান ও আমিরাবাদ মাষ্টারহাট এলাকায় টানা বিদ্যুৎ নেই।
মুহাম্মদ নুরুল মহসিন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেন প্লিক। জাহিদ মুহাম্মদ তানজিম বলেন, সাতগড়ে দু’একবার বিদ্যুৎ এলেও ২ মিনিটের বেশী স্থায়ী হয় না। মোঃ আবুল হোছাইন বলেন, চরম্বার নোয়ারবিলা, রাজঘাটা, নাফারটিলা বাজারে গত জুমাবার থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই।
গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুতের অভাবে পুরো ইউনিয়ন ভুতের নগরী হয়ে গেছে। টানা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচেছ। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা পণ্য সামগ্রী পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাড়া বাসা বাড়িতে পানির অভাবে লোকজন গোসল পর্যন্ত করতে পারছেন না।
এদিকে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ সৃষ্টি হয়ে। ভূক্তভোগী গ্রাহকরা বিদ্যুতের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।