এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড়–য়া পাড়া এলাকায় হাতিয়ার খাল থেকে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
একইদিন মারধরের স্বীকার সাফুল বড়–য়া (৫০) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি ওই এলাকার সুধির বড়–য়ার পুত্র ও পেশায় রিক্সাচালক। অভিযুক্তরা হলেন একই ওয়ার্ডের কাঠলিয়া পূর্ব পাড়ার কালা মিয়ার পুত্র মো. রাসেল (২৫) ও মো. মিনুর পুত্র মো. মেহের (২৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবত ৮/৯ জন শ্রমিক দিয়ে হাতিয়ার খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। ঘটনারদিন বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় অভিযুক্তরা সাফুল বড়–য়াকে মারধর ও গালাগালি করেন। এছাড়া বালু উত্তোলনে বাধা দিলে অভিযুক্তরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। গত ৫ মাস পূর্বে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু প্রায় এক মাস যাবত অভিযুক্তরা পুণরায় বালু উত্তোলন করে আসছেন।
স্থানীয় কানন বড়–য়া জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের উভয় পাশে চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বিলীন হয়ে যাবে তাদের বসতভিটা। বালু উত্তোলনে বাধা দিলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করছে। এতে আমরা অসহায় অবস্থায় আছি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত রাসেল ও মেহের জানান, তারা মসজিদ নির্মাণের জন্য বালু উত্তোলন করেছেন। ঘটনারদিন সাফুল বড়–য়ার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। তবে মারধরের কোন ঘটেনি বলে জানান তারা।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে মারধর করার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।