নিউজ ডেক্স : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অমানবিক ও নির্দয় সরকার থাকার কারণে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নাই। কারণ যারা দিনের ভোট রাতে করে, ভোটকেন্দ্রে মানুষকে আসতে দেয় না, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়, তাদের পক্ষে এটাই সম্ভব। মানুষের মৃত্যু ও লাশের ওপর দিয়ে তারা রাজত্ব কায়েম করতে চায়। আজকে গোটা দেশ গোরস্তানে পরিণত হয়েছে। এ রকম অরাজক পরিস্থিতি চলতে পারে না।
বগুড়া শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য ওমর ফারুক ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকতের স্ত্রী দিলরুবা শাহিন ক্যান্সার ও কারোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কোরবানির চামড়া মানুষ এতিমখানায় দেয়। এই চামড়া বিক্রি করে এতিমদের খরচ চালানো হয়। আজকে এতিমদের হক মারা হয়েছে। চামড়া কোনো মূল্য নাই। পথে-ঘাটে চামড়া ফেলে দেওয়া হচ্ছে। চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অরাজকতা নৈরাজ্যের মধ্যে দেশ চলছে। ব্যর্থ সরকারের পতন না হলে মানুষের মুক্তি মিলবে না। তাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা জন্য সকলের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি আরো বলেন, গুম খুন ক্রসফায়ার অব্যাহত রয়েছে। টেকনাফের সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনা সাহেবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিসের জন্য এ হত্যা। তারা যে কথা বলছে তার সত্যতা কতটুকু তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুচিকিৎসা না পাওয়ায় ফারুকের মতো তরুণ নেতা, দিলরুবা মতো নারীনেত্রী অকালে প্রাণ হারালো। আমি মনে করি চারদিকে অন্যায় অরাজক পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মারা গেছেন। কালের কন্ঠ