নিউজ ডেক্স : সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার চুক্তিতে ৪১ জন রোহিঙ্গাকে ট্রলারে তোলে দালাল চক্র। ট্রলারে করে সারা রাত সাগরে ঘুরিয়ে মালয়েশিয়ার সমুদ্র তীর বলে রাতের আঁধারে তাদেরকে মহেশখালীর সোনাদিয়ার মগচরে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর মালয়েশিয়ায় এসে পড়েছে বলে তাদেরকে নামিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ট্রলারের মাঝি ও দালাল চক্র।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোর রাতে নামিয়ে দেয়া রোহিঙ্গাদের সকালে দেখতে পান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, সোনাদিয়ার মগচরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের তৈরি করা অনেক বাসা রয়েছে। এখানে রাতে বাতি জ্বলছিল। দূর থেকে এসব বাতি ঝলমল করতে দেখা যাচ্ছিল। আর সেই বাতি দেখিয়ে দালাল চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বোঝাল এটাই মালয়েশিয়া।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ৫ দিন আগে থেকে তাদেরকে সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘুরাতে থাকে। শেষে তাদেরকে মালয়েশিয়া বলে সোনাদিয়ার চরে নামিয়ে দেয় দালালরা। বালুখালী ক্যাম্প, ঘুমঘুম ক্যাম্প ও কুতুপালং ক্যাম্প থেকে তারা দালালের মাধ্যমে ট্রলারে ওঠে।
স্থানীয়রা জানান, সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ সোনাদিয়া চরে পৌঁছানোর আগেই ২০ রোহিঙ্গাকে কিছু লোক প্যারাবনে ও বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরের খামারে ও বাসাবাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পরে মহেশখালী থানার এসআই নুরুন্নবী ও এএসআই ফিরোজের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সোনাদিয়ার মগচর হতে দুই শিশুসহ ২১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে মহেশখালী থানায় নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মালেশিয়ায় মানবপাচার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর।