নিউজ ডেক্স : সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় নিজেদের অস্ত্র জমা দেয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছেন অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ প্রায় ৯৬ জন ডাকাত ও জলদস্যু। উপকূলবর্তী এলাকায় দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকারের অহবানে সাড়া দিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক (ছোট ও মাঝারি), অস্ত্র তৈরির যন্ত্র, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক (লম্বা), দেশীয় তৈরি রাইফেল, গুলি ও কার্তুজ জমা দিয়েছেন তারা। কক্সবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলার কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শনিবার বেলা ১১টায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দেন জলদস্যুরা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য (কক্সবাজার-২) আশেক উল্লাহ রফিক, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্য, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানস্থলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণকারী ৯৬ জলদস্যুকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। এলাকায় প্রায়ই খুন, লুটপাট, দস্যুতা, অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্ম ঘটে থাকে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মহেশখালীর এসব দুর্গম এলাকায় অসংখ্যবার অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারাখানা আবিষ্কারসহ জলদস্যুদের গ্রেফতার করা হয়। এবার সন্ত্রাসীরা নিজেরাই এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথ ধরেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর সশস্ত্র ৪৩ জন জলদস্যুর আত্মসমর্পণের পর এবার কক্সবাজারের সন্ত্রাস কবলিত মহেশখালীতে আত্মসমর্পণ করলো ১২টি বাহিনীর ৯৬ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। এছাড়া, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।