নিউজ ডেক্স : দেশে প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের স্পোর্টস ডিগ্রি চালু করেছে ব্র্যাকের বিএসি ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টার। ক্রীড়া বিজ্ঞানে প্রায়োগিক জ্ঞান দিয়ে প্রশিক্ষিত খেলোয়াড় তৈরিই এ ডিগ্রির মূল উদেশ্য।
রাজধানী ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কোর্সের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিএসি স্টাডি সেন্টারে চেয়ারম্যান অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। এসময় দেশের খ্যাতিমান ক্রিকেটার, ফুটবলার, ধারাভাষ্যকাসহ ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্রিটেনের এডেক্সেল কারিকুলাম অনুযায়ী ‘ও’ লেভেলকে ফার্স্ট ডিপ্লোমা (এফডি), ‘এ’ লেভেলকে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা (এনডি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ সমমানকে হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা (এইচএনডি) ধরা হয়েছে। এ কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা ইউকের ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট-এ বিএ অনার্স অথবা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইউকেসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া সংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক এবং মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করা যাবে।
বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের সব বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ডিগ্রিগুলো। পেশাদার খেলোয়াড়, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহীরাও এ কোর্সগুলো করতে পারবে। দেশের বাইরে স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এ ডিগ্রিগুলো সহায়ক হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ডিগ্রিগুলো ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে শেষ করা যাবে এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি কেবল পরীক্ষা নির্ভর নয় বাস্তবতা এবং পেশাদার খেলোয়াড়দের ব্যস্ততার পুরো বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবহারিক, মৌখিক, অ্যাসাইনমেন্টসহ অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ বলেন, খেলাকে পেশা হিসেবে নেয়ায় দেশের সব জাতীয় খেলোয়াড়রা পড়ালেখা করতে পারছে না।তেমনি খেলাধুলায় আসতে চায় তাদের অভিভাবকরা পড়ালেখার ক্ষতির কথা ভেবে নিরুৎসাহিত করেন। এ কারণে সুশিক্ষিত ক্রীড়া প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে না। এ সব বিষয় মাথায় রেখেই এ ডিগ্রীগুলো ডিজাইন করা হয়েছে। এতে খেলাধুলা পড়াশুনা এক সঙ্গে চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসি স্পোর্টস প্রোগ্রামের হেড অব অপারেশন এবং সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার দিপু রায় চৌধুরী, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ওমর খালেদ রুমি, জাতীয় অ্যাথলেট নজরুল ইসলাম রুমি, সাবেক জাতীয় টেনিস প্লেয়ার ও কোচ খালেদ আহমেদ, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ এ. কে. এম. মারুফুল হক, সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার এহসানুল হক (সেজান), ধারাভাষ্যকার ও মিডিয়া ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ডা. অনুপম চৌধুরী এবং ডা. সাকিল আহম্মদ, সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের জাকারিয়া পিন্টু, ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী।