নিউজ ডেক্স : মিয়ানমার সীমান্তে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাসে করে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে একাধিক বাসের ব্যবস্থা করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা পুলিশ দুটি বাস ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অন্যান্য যানবাহনে করে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, পুলিশি পাহারায় দুটি বাসে তুলে ঘুমধুম কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ আগেভাগে ঘুমধুম থেকে অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পরিবহনে উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে পৌঁছেছে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। সেখানে লোকজনের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। সেখানকার পরীক্ষার্থীদের সহজ ও নিরাপদ যাতায়াতে ছাত্রলীগের উদ্যোগে কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিনা মূল্যে পরীক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাচ্ছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, ‘বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি ভালো না। যেকোনও মুহুূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে নিকটবর্তী উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটি বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন। -আজাদী অনলাইন