নিউজ ডেক্স : অক্টোবরে চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশার বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলটির ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করে অক্টোবরে চালু করে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে রাত-দিন।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ টানেল চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাস্তবায়নকালে অক্টোবরের মধ্যেই টানেলের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে করে প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত হলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই টানেল চালু করে দেয়া হবে। সংযোগ সড়কসহ আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হচ্ছে। টানেলের ভিতরে রাস্তা নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুত। সবকিছু মিলে স্বপ্নের টানেলের ভিতর দিয়ে গাড়ি চালানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
টানেল সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ গত ডিসেম্বরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। চীন সরকারের সহায়তায় চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কন্সট্রাকশান কোম্পানির (সিসিসিসি) মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের সেগম্যান্ট চীনে প্রস্তুত করে এখানে এনে লাগানো হচ্ছে। এতে করে টানেলটির বহু কাজই চীনের উপর নির্ভরশীল ছিল। করোনাকালে যা ভয়াবহ রকমের সংকট তৈরি করেছিল। বিশেষ করে চীন থেকে সেগম্যান্ট আনা এবং স্থাপন করার পাশাপাশি চীনা প্রকৌশলীদের অনেকেই দেশে গিয়ে আটকা পড়ে। এতে চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সময়মত কাজ করাতে পারছিল না। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির পর পুরোদমে কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে কাজে বেশ গতিশীলতা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা দ্রুত কাজ করছি। রাতে দিনে কাজ চলছে। আগামী অক্টোবরে টানেল চালু করার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কার্যক্রম চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা থাকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, টানেলটি নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সাবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার শিল্পায়ন, আবাসন এবং পর্যটন খাতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। এই টানেল দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। -দৈনিক আজাদী