নিউজ ডেক্স : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ক্লাস কার্যক্রমের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে এখন থেকে ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল পৌনে ৩টা ও মফস্বলে ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সারাদেশে সকাল ৭টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত ক্লাস হবে। বুধবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোর জন্য সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হয়ে বিকেল পৌনে ৩টা ও আর ঢাকার বাইরের বিদ্যালয়গুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ক্লাস নেয়া হবে। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে সারাদেশে সকাল ৭টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত ক্লাস হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যালয়গুলোতে বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী ক্লাস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না তা উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনিটরিং করবেন। পাশাপাশি প্রতি মাসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরির্দশনে যান। নির্ধারিত সময়ের আগেই অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী শূন্য দেখতে পান। খোঁজ-খবর নিয়ে তারা জানতে পারেন যে, শিক্ষকরা ইচ্ছামতো ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সিলেবাস ও শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) অনুসরণ করা হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকারি ও বেসরকারি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান।
জানা গেছে, এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সভা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রও জারি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বায়োমেটিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি ও বিদ্যালয় ত্যাগের সময় রোকর্ড করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এফ এম মনজুর কাদির জাগো নিউজকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন করে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে এ সময়ের আগে কোনো শিক্ষক বিদ্যালয় ত্যাগ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনিটরিং করে মাসিক প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষক এ নির্দেশনা অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি ও বিদ্যালয় ত্যাগের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য প্রথমে ঢাকার দুই-একটি বিদ্যালয়ে পাইলটিং হিসেবে এ মেশিন স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে এটি দেশের সব বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হবে বলেও জানান মনজুর কাদির।