এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের তেওয়ারীখীল এলাকায় খাস জমির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের দেয়া কাঁটাতারের বেঁড়া ও পাকা দেয়ালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল (সোমবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুব আলমের উপস্থিতিতে পদুয়া তেওয়ারিখীল এলাকার মৃত জাফর আহমদ সওদাগরের পুত্র নুরুল আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
উপস্থিত এলাকাবাসী ও অভিযোগকারী নুরুল আলমের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে তিনি ও তার পরিবার এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলাকার কিছু অসাধু লোকজন অভিযোগকারীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আলম চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা রাতারাতি কাঁটাতারের বেঁড়া ও পাকা দেওয়াল দিয়ে তার পরিবারকে রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৬০০ ফুট রাস্তার মধ্যে ১২০ ফুট রাস্তা খাস জমির টিলা ও বাকি রাস্তাটির পুরো জমি নুরুল আলমের পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর। এছাড়াও দেখা যায়, চলাচলের জন্য দীর্ঘদিনের এ রাস্তাটি ছাড়া তাদের বিকল্প কোন রাস্তা নেই।
পদুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, পদুয়া মৌজার বিএস ৩১৬৭০ দাগ শ্রেণী টিলা জমির পরিমাণ ১.০০০০ একর বিএস ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চট্টগ্রাম ডেপুটি কমিশনারের নামে জরিপ আছে। উক্ত দাগের পশ্চিমাংশে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা পায়ে হাঁটার ও চলাচলের একটি রাস্তাও রয়েছে। নালিশী বিএস ৩১৬৭০ দাগের উত্তরে বিএস ৩১৬৮৮ দাগ ব্যক্তি মালিকানাধীনে নুরুল আলমের বাড়ি আছে এবং রাস্তার প্রায় ৪৮০ ফুট তার মালিকানা জায়গার উপর অবস্থিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ডেপুটি কমিশনারের নামে জরিপ থাকা সত্ত্বেও খাস জমি দখল করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও অসাধু ব্যক্তিরা জোট হয়ে এতদিন আলমের অসহায় পরিবারের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছিল এবং তাদের রাস্তায় চলাচল করতে বাধা দিচ্ছিল।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, আমি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এবং তদন্ত সাপেক্ষে জানতে পারি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে নুরুল আলমের পরিবার ও লোকজন চলাচল করে আসছে। খাস জমির উপর রাস্তা হিসেবে সবাই চলাচল করতে পারে। কিন্তু সরকারের জায়গায় মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কাঁটা তার ও দেয়াল দিয়ে দখল করা অবৈধ। খাস জমির মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, কাঁটা তার এবং পাকা দেয়াল দিয়ে খাস জমি দখল করে ভোগ করা অথবা অন্যের চলাচলে বাঁধা প্রদান করা অবৈধ।
তিনি আরো বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়ায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে খাস জমির উপর থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করি।