নিউজ ডেক্স : নেপালের কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজে থাকা ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে চারজন ক্রু এবং ২২ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে; আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন দশজন।
ভয়াবহ ওই বিমান দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকালে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস হতাহতদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
সোমবার দুপুরে ত্রিভুবনে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ এর ৭১ আরোহীর মধ্যে মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অতীত বরণ সরকার। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ জনই গুরুতরভাবে আহত।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল হাসান ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, আহত ওই দশজনের মধ্যে ইমরানা কবির হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, আলমুন নাহার অ্যানি, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আর ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে এবং রিজওয়ানুল হক ওম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
যাত্রীর মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, আলিফুজ্জামান, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী,রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, মো. নজরুল ইসলাম, আঁখি মনি, মেহনাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা (শিশু), মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, পিয়াস রায়, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান (শিশু) মারা গেছেন।
পাইলট আবিদ সুলতান ও ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রশিদ ক্রু খাজা হোসেন ও কে এইচ এম শাফিকে নিয়ে ফ্লাইট বিএস২১১ পরিচালনা করছিলেন। তাদের সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ।
কামরুল বলেন, ‘ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ মেডিকেল প্রসিডিউর শেষ হওয়ার পর তাদের মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে ইউএস বাংলা প্রস্তুত রয়েছে।’
ইউএস বাংলার সিইও ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন এবং সেখানে তারা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি।