ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের কারণ গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়!

ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের কারণ গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়!

নিউজ ডেস্ক: যশোরের অভয়নগরে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ে গেটম্যান বার্তা না পাওয়ায়। তবে ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনের ওই দুর্ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউল হক।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মশরহাটী গ্রামে ভাঙ্গাগেট রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে খুলনাগামী একটি মালবাহী ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট ১৪-৮১৯৩) ভাঙ্গাগেট রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এসময় খুলনাগামী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন আসতে দেখে ট্রাকের চালক ও তার সহকারী লাফিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। পরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করলে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যশোর-খুলনা মহাসড়কের ব্যস্ততম ভাঙ্গাগেট রেলক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার দণ্ড না নামানোয় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওইসময় দায়িত্বরত গেটম্যান আশিষ কুমার ট্রেন আসার বার্তা পাননি বলে ব্যারিয়ার নামানো হয়নি।

এ বিষয়ে যশোর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটার কিছু সময় আগে থেকেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিপর্যয় শুরু হয়। রেলওয়ের গেটম্যানরা তাদের ডিউটি ফোন হিসেবে অফিসিয়াল গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন। প্রত্যেক দায়িত্বরত গেটম্যান তার পার্শ্ববর্তী গেটম্যানকে ট্রেনের মুভমেন্ট বার্তা পৌঁছে দেন। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেনটি যখন বসুন্দিয়া পার হয়ে ভাঙ্গাগেটের দিকে যাচ্ছিল তখন সেখানকার দায়িত্বরত গেটম্যান চেষ্টা করছিল নেটওয়ার্ক রিচ করতে। কিন্তু নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে তিনি তা পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘যখন ট্রেনের উপস্থিতি টের পেয়েছেন, তখন ব্যারিয়ার নামানোর চেষ্টা করেন গেটম্যান। ট্রেনের লোকোমাস্টারও (চালক) গেট খোলা দেখে হুইসেল বাজিয়েছেন। কিন্তু ভাঙ্গাগেট ব্যস্ততম ক্রসিং হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে ফাঁকা করা যায়নি। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

ভাঙ্গাগেটে যে চারজন গেটম্যান দায়িত্ব পালন করেন তারা খুবই দক্ষ বলেও জানান রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়ালিউল হক। তিনি বলেন, ‘এখানে দুর্ঘটনার নজির নেই। কিন্তু নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের এ দুর্ঘটনায় গেটম্যানকেও যেমন দায়ী করা যাচ্ছে না; আবার ট্রাকচালকেরও দায় নেই।’

‘তবে এ ঘটনার পরপরই সব স্টেশন ও রেলক্রসিংগুলোতে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ট্রেনের লোকোমাস্টারদেরও ক্রসিং পার হওয়ার সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়। ফলে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি,’ যোগ করেন ওয়ালিউল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!