নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধ ও গুলিতে’ তিন ডাকাত ও এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোর ও শুক্রবার রাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। আটক হয়েছেন আরও দুই ইয়াবা কারবারি। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দুকযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন টেকনাফ সদরের কায়ুকখালীপাড়ার আবদুল গফুরের ছেলে ইয়াবা কারবারি মেহেদী হাসান, চিহ্নিত ডাকাত কুতুবদিয়ার লেমশিখালীর নুরুচ্ছফার ছেলে মো. আয়ুব ও একই উপজেলার ধুরুংখালীর শাহাজাহান বাদশার ছেলে জুনায়েদ।
এছাড়া গুলিতে নিহত ইমরান মোল্লা (২৭) মাদারিপুরের কালকিনি থানার গাংগিরকুলের মৃত জহিরুল মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পশ্চিম এনায়েতপুরের মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফের হাতিয়াঘোনার মৃত বাঁচামিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টেকনাফ থানাধীন নুরউল্লা ঘোনা নামক পাহাড়ে একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ১০-১৫ জন ডাকাতকে নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। ফোর্সসহ ওই স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
পরিস্থিতি গুরুতর বিবেচনা করে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স পাঠান। এতে উভয় পক্ষে গোলাগুলি চলতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন।
পরে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ ডাকাত ও আয়ুব ডাকাতসহ মেহেদী হাসান ও মোস্তাক ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব ও মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এসআই মসিউর রহমান ফোর্সসহ মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া নামক স্থানে ডিউটিকালীন একটি সিএনজি অটোরিকশা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো দেখে সেখানে যান। এ সময় এক ব্যক্তিকে গুলি করে ২ জন পালানোর সময় অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুলিবিদ্ধের নাম ইমরান ও বাকি দুজনের নাম সাইফুদ্দিন শাহিন ও মো. সিদ্দিক বলে জানান। ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের পার্টনার ইমরানকে গুলি করেছে বলে জানান তারা। গুলিবিদ্ধ ইমরান মোল্লাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পৃথক ঘটনার বিষয়ে অস্ত্রসহ একাধিক অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।