নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যাংকার সাইফুজ্জামান খান মিন্টুর স্ত্রী কনিকার জ্ঞান ফিরেছে আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর)। কথা বলার শক্তি ছিল না থাকলেও সাথে থাকা আত্মীয় স্বজনদের চোখের ইশারায় জানতে চাইলেন দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্বামীর কথা।
সদ্য জ্ঞানপ্রাপ্ত কনিকা এখনও জানে না তার স্বামী সাইফুজ্জামান ও দুই মেয়ে এখন না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিধায় চিকিৎসকরা এখনই তাকে সে খবর জানাতে মোটেই রাজি নন। পরিবারের সদস্যরাও তাই বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন তার কাছ থেকে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহত সাইফুজ্জামানের বড় ভাই কক্সবাজার বিজিবির পরিচালক কর্নেল জেড আই নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা থেকে সেজো ভাই কুমিল্লার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেড আই মিজানুর রহমান খান ও ছোট ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জেড আই মনিরুজ্জামান খান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছুটে আসেন। -পূর্বকোণ
স্বজনরা জানান, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সন্তান জেড আই সাইফুজ্জামান খান মিন্টু (৪৫) পরিবারে পাঁচ ভাই ছয় বোনের মধ্যে মিন্টু দশম। ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে কর্মরত সাইফুজ্জামান খান মিন্টু পরিবার নিয়ে থাকতেন মিরপুর এলাকায়।
এর আগে, আজ রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কালচোঁ ইউনিয়নের পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমে নিহত সাইফুজ্জামান ও পরে তার দুই মেয়ে আশরা আনাম খান (১৩) ও তাসমিন জামান খানের (১১) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুন্ড উপজেলার ফৌজদারহাট বাইপাস মোড়ে ঢাকামুখী প্রাইভেট কার ও চট্টগ্রামমুখী কনটেইনারবাহী লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ব্যাংকার সাইফুজ্জামান খান মন্টুর দুই মেয়ে আশরা ও তাসমিন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া আহতাবস্থায় সাইফুজ্জামান খানকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন