Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়েই মাঠের যুদ্ধে প্রার্থীরা

চট্টগ্রামে প্রতীক পেয়েই মাঠের যুদ্ধে প্রার্থীরা

P-1-12

নিউজ ডেক্স : প্রতীক পেয়েই মাঠের যুদ্ধে নেমে পড়েছেন চট্টগ্রামের ১৬ আসনের বিভিন্ন দলের ১১৪ প্রার্থী। উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক পাওয়ার পরপরই নগরী ও জেলায় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক আগে থেকে জানা থাকায় নেতা কর্মীরা আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। খবর দৈনিক আজাদীর।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট উৎসব। এখনো ভোটের ১৯ দিন বাকি। কিন্তু গতকাল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে শহর-নগর-গ্রামের অলি-গলি-মেঠো পথ।

গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১৮০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। বাছাই এবং প্রত্যাহার শেষে ১৬ আসনে এখন চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা ১১৪ জন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিজয়ের হাসি হাসবেন মাত্র ১৬জন। যারা নির্বাচিত হয়ে যাবেন সংসদে। গতকাল চট্টগ্রামের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের ১১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল আমিন।
চট্টগ্রাম-২(ফটিকছড়ি) আসনে মহাজোটের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম এবং বিএনপির মো. আজিম উল্লাহ বাহার।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে আওয়ামী লীগের দিদারুল আলমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইসহাক কাদের চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিক দল কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জসিম উদ্দিন সিকদার। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনীয়া) আসনে আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিক দল এলডিপির প্রার্থী নুরুল আলম। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ-আম্বিয়া পার্টির প্রাথী মঈনউদ্দীন খান বাদলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান। এ আসনের অপর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর ছোট ভাই হাসান মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-খুলশি-হালিশহর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. আফছারুল আমীনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম আবদুল লতিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. এনামুল হক।
চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শরিক দল এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের শীর্ষ নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির জহিরুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে আছেন। এদিকে বিএনপির পাশাপাশি তাদের শরিক দল এলডিপি, কল্যাণ পার্টির প্রার্থীরাও মাঠে আছেন। এছাড়াও নির্বাচনী মাঠে আছেন কমিউনিষ্ট পার্টি, ওয়াকার্স পার্টি, ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জাসদ রব, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থীরা আগে ভাগেই প্রচার-প্রচারণার জন্য সাদা-কালো (নির্দিষ্ট সাইজের) পোস্টার, ব্যানার-লিফলেট তৈরী করে রেখেছেন। যাতে প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথে ভোটারের কাছে প্রতীক নিয়ে যাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!