Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রামের সাত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন নেই

চট্টগ্রামের সাত বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন নেই

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র হলেও চট্টগ্রামে উৎপাদন বাড়েনি। বরং সরকারি অর্থ খরচ করে চট্টগ্রামের অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে উৎপাদন ছাড়াই। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক চট্টগ্রামের ২০ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই ‘রিজার্ভ’ উল্লেখ করে উৎপাদন হয়নি। গ্যাস সংকট দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে একটি। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উৎপাদন হয়নি আরেকটিতে। সব মিলিয়ে সক্ষমতার অর্ধেকও উৎপাদন হয়নি চট্টগ্রামে। তবে সরবরাহে চাহিদা ছিল উৎপাদনের চেয়ে বেশি।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী পাড়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সমন্বয়ক ও শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু বলেন, কোনো প্লান্টই বসে নেই। তবে শীতকাল হওয়ার কারণে চাহিদা কম। চাহিদা কম থাকায় কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন হচ্ছে না।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রামে ২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট সক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে পিক আওয়ারে ১ হাজার ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। ওইদিন চট্টগ্রামে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ছিল ১ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট। তবে উৎপাদন না থাকা প্লান্টগুলোতে আগে ‘লো ডিমান্ড’ দেখানো হলেও এখন এক্ষেত্রে ‘রিজার্ভ’ শব্দটি ব্যবহার করছে পিডিবি। নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করলেও চাহিদা না থাকায় কয়েক মাস ধরেই চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে না। – দৈনিক আজাদী

সর্বশেষ ২০ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ দেখানো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২৫ মেগাওয়াট রাউজান পাওয়ার প্লান্ট, ১০৫ মেগাওয়াট বারাকা শিকলবাহা, ১০২ মেগাওয়াট দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, ১০০ মেগাওয়াট জুলধা-ওয়ান একর্ন পাওয়ার প্লান্ট, চট্টগ্রাম ১০৮ মেগাওয়াট ইসিপিভিএল পাওয়ার প্লান্ট, ৫৪ মেগাওয়াট জোডিয়াক পাওয়ার প্লান্ট, ১১০ মেগাওয়াট বারাকা কর্ণফুলী পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি। আবার ‘লো ডিমান্ড’ দেখিয়ে ২৮১ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়েছে ৩০০ মেগাওয়াট আনোয়ারা ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টে। অন্যদিকে গ্যাস সংকটের কারণে রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৮০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এক ইউনিটে কোনো উৎপাদন হয়নি। রক্ষণাবেক্ষণের কারণে উৎপাদন হয়নি ৯৮ মেগাওয়াট হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্লান্টেও।

একই দিন রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৮০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এক ইউনিটে ১২০ মেগাওয়াট, ২২৫ মেগাওয়াট শিকলবাহা রিসাইকেল পাওয়ার প্লান্টে ২১১ মেগাওয়াট, ১৫০ মেগাওয়াট শিকলবাহা পিকিং পাওয়ার প্লান্টে ১৩৯ মেগাওয়াট, ২৩০ মেগাওয়াট কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র ৭০ মেগাওয়াট, ২২ মেগাওয়াট সক্ষমতার বাড়বকুণ্ড রিজেন্ট পাওয়ার প্লান্টে ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। কাপ্তাই হৃদের পানি স্বল্পতার কারণে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র ৫০ মেগাওয়াট পতেঙ্গা বারাকা পাওয়ার, ১০০ মেগাওয়াট জুলধা-থ্রি পাওয়ার প্লান্টে সক্ষমতার পুরোটা উৎপাদন হয়েছে। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী ওইদিন সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল মাত্র ৮ হাজার ৯৩৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে চট্টগ্রামের চাহিদা ছিল ১ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট।

পিডিবি তাদের প্রতিবেদনে রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সংকটের কারণে একটি ইউনিট বন্ধ রাখার বিষয়টি জানানো হলেও রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী রনজিত কুমার দাশ বলেন, শুধু গ্যাস সংকটের কারণে নয়, আমাদের যান্ত্রিক কিছু সমস্যা রয়েছে। সে কারণে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!