নিউজ ডেক্স : কক্সবাজার থেকে রাতের আঁধারে পাচারের সময় চকরিয়ায় জব্দ করা হয়েছে ৪০০ বস্তা (২০ মেট্রিক টন) চাল। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট স্টেশনে অভিযান চালিয়ে হাইওয়ে পুলিশ চালবোঝাই কাভার্ডভ্যান (চট্টমেট্রো-ট-১১-৫২৯৬) আটক করে। এসব চালের বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিল রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারের আমদানিকৃত এসব উন্নতমানের চাল ভর্তুকি দিয়ে ওএমএস এর মাধ্যমে বিক্রি, হতদরিদ্র ও রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহের কথা থাকলেও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চালগুলো পাচার হচ্ছে। আর সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে নিম্নমানের চাল।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিক ‘কালোবাজারি মুজিব সিন্ডিকেট’ এসব উন্নতমানের চাল পাচার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিম্নমানের চাল সরবরাহ দিচ্ছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গোপনে জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন মালুমঘাট এলাকায় চালভর্তি কাভার্ডভ্যানটি আটক করে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি কাভার্ডভ্যানটিতে বিপুল পরিমাণ চালের বস্তা। এসব বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিল রয়েছে।’
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘চালভর্তি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করার পর চালক রামু খাদ্যগুদামের একটি ডিওর কাগজ প্রদর্শন করে। পরে এই কাগজ নিয়ে যোগাযোগ করা হয় রামু খাদ্যগুদামের কর্মকর্তার সঙ্গে। এ সময় তিনি দাবি করেন, চালগুলো বিজিবির এবং আজ (মঙ্গলবার) গুদাম থেকে ৪০০ বস্তা চাল বিজিবির জন্য ছাড় করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, রামু ৫০ বিজিবির একটি ভুয়া ডিও চালান দেখিয়ে চালগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য দেনদরবার চালায় একটি চক্র। রামু বিজিবি ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মো. তানভীর আলী বলেন, ‘চকরিয়ায় জব্দকৃত চাল বিজিবির নয়।’ রামু খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন দাবি করেছেন, ‘জব্দকৃত ৪০০ বস্তা চাল বিজিবির জন্য ছাড় করা হয়েছে।’