নিউজ ডেক্স : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। ইতিপূর্বে শনি অথবা রবিবার আঘাত হানার কথা বলা হলেও ঘূর্ণিঝড়ের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার সকালে আঘাত হানতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীকাল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, ফনি এখনও ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এর গতি পরিবর্তন হতে পারে। গতি পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানে তবে তার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ১৬তে জানায় দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও সামা্ন্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে,কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।