নিউজ ডেক্স : পুরনো কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য কালুরঘাট সেতুর নিচে আগের মতোই কর্ণফুলী নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য টেন্ডার আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। কালুরঘাটে (কর্ণফুলী নদীতে) ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সরেজমিনে কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ফেরি সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করে নভেম্বরে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে যায়। এরপর থেকে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগ টেন্ডার আহ্বান করে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, কালুরঘাটে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য আমরা টেন্ডার আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। ৪টির মতো প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর দুইপাশের এপ্রোচ সংড়ক নির্মাণসহ পল্টুন স্থাপন এবং ফেরি চলাচল শুরু হবে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকেল্পর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী জানান, দোহাজারী-কঙবাজার ১০০ কিলোমিটার পথের মধ্যে ৬০ কিলোমিটারে রেললাইন বসে গেছে। ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে কঙবাজার সাইটে কাজ এগিয়ে গেছে। প্রকল্পের বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলোও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে। নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৭ মাস বৃষ্টি হবে না। এই সময়ের মধ্যে পুরোদমে কাজ করলে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে কাজ শেষ হবে। এর মধ্যে পুরনো কালুরঘাট সেতুটির মেরামতের কাজও শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা কঙবাজার রুটে ট্রেন চালিয়ে দেবো।
এদিকে নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের শুরুতে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায়-এখন নতুন নকশায় প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। তারপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ)এর সাথে লোন এগ্রিমেন্ট হবে। এরপর একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর আমরা টেন্ডারে চলে যাবো। ঠিকাদার নিয়োগ হবে। পরামর্শক নিয়োগ হবে। এসব অনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে।