এলনিউজ২৪ডটকম : মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুণরায় লোহাগাড়ার কলাউজানে নাজির খাঁ দিঘীর মাছ প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৮ অক্টোবর ১৪ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সাতকানিয়া সার্কেল বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মাওলানা আবদুস ছবুর।
জানা যায়, বিগত ৬/৭ বছর যাবত লোহাগাড়ার কলাউজান ইউনিয়নের রসুলাবাদ, হাজির পাড়া এলাকায় নাজির খাঁ দিঘীর মালিক ইশরাত জাহান সিদ্দিকা গং এর কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক বর্গা নেন প্রতিবেশী আবদুস ছবুর। তিনি দিঘীতে দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য চাষ করে আসছেন। প্রতিপক্ষগণ দিঘীর পাশে বসবাসের সুবাদে দিঘীর মাছের উপর কুনজর পড়ে এবং মালিক ও বর্গাচাষীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী ও বিভিন্নরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। যা স্থানীয় জেলা আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লিখিত অভিযোগ করে আসছে। অভিযোগের জের ধরে জোরশক্তি প্রয়োগ করে দিঘীর মৎস্য চাষের মালিকপক্ষকে এক প্রকার অবিচারে হার মানায়। তাতে প্রতিকার চেয়ে নজির খাঁ দিঘীর মালিক ইশরাত জাহান সিদ্দিকা বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন মামলা (নং- ২৪১০/২০২০) দায়ের করেন। মামলার অর্ডারে বিবাদীগণকে কোনভাবে ঝামেলা-জট না করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীগ পরিচয়ে শফিউল আজমের নেতৃত্বে আবদুস কুদ্দুস, নুরুল আমিন, শেখ আহমদ, নুরুল আমিন প্রকাশ কালা বদো, ফুরুখ আহমদ প্রকাশ ফরুইক্কা, জাহেদ, ইদ্রিস, হোসেন, এহসান, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী প্রকাশ আইল্যা, পেঠান, কামাল উদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে দিনদুপুরে এবং রাতের আঁধারে বড় জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ লুট করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী আবদুস ছবুর।
অভিযুক্ত শফিউল আজম সংবাদকর্মীদের জানান, দিঘীটি সরকারি খাস জায়গায়। পার্শ্ববতী লোকজন নিয়মিত ব্যবহার করে আসছে। তার জন্য আমরা তা দখলমুক্ত করতে চেষ্টা করছি।
সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, দিঘীর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।