নিউজ ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৪ প্রতিশ্রুতির ইশতেহার সাম্প্রতিককালের ‘বৈপ্লবিক ইশতেহার’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার পাঠ শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের যে মৌলিক দাবি-দাওয়াগুলো রয়েছে তা এ ইশতেহারের মাধ্যমে উঠে এসেছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো এর মধ্যে এসেছে। এটি সাম্প্রতিককালের একটি বৈপ্লবিক ইশতেহার হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আজ জনগণের যে জাগরণ শুরু হয়েছে, জনগণ যেভাবে তাদের মূল দাবি রাষ্ট্রের মালিকানা, সেই মালিকানার জন্য জেগে উঠছে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে চলেছে, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকারগুলো আদায় করবে এবং যে অপশক্তি রয়েছে, যারা স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে দিতে চাই, মানুষের অধিকারকে হরণ করতে চাই তাদের পরাজিত করবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে যখন সুশাসন থাকে না, নৈরাজ্য থাকে তখন বিদেশেও মান-সম্মান থাকে না। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আমাদের বিজয়ের পরে সর্বক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত একটা বেকার থাকার অবকাশ নেই।’
‘জাপান থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত কৃষিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এজন্য প্রয়োজন একটা ভাষা শেখা।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থানের দিকে আমরা দুভাবে নজর দিয়েছি। একটা শিক্ষিত বেকার, আরেকটা কম শিক্ষিত। এতে চিন্তার কোনো কারণ নাই। সারা পৃথিবীতে বয়বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে, তাদের দেখাশোনা কে করবে? বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে তরুণ-তরুণীর সংখ্যা সর্বাধিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘মইনুল হোসেন আজ জেলে। আজ কামাল হোসেনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এসব বাজে কথা বন্ধ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের পরিবর্তন অবসম্ভাবী। আমাদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মানুষ মেরে পৃথিবীর কোনো দেশে জঙ্গিবাদ নিরসন হয়নি, মাদকও নিরসন হয়নি। এ সরকার মাদক নিরসনের কথা বলে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করছে। মানুষ হত্যা কোনো চিকিৎসা নয়। আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেন, তাহলে দেখবেন সব সমস্যা অতি সহজে সমাধান হয়ে যাবে। জনগণ শান্তি চাই, জনগণ কল্যাণকর বাংলাদেশ চাই।’