নিউজ ডেক্স : শরতের আকাশ বলতে যা বোঝায় তার চাইতেও পরিষ্কার দেশের আকাশ। পেজা তুলার মতো সেই মেঘের দেখা নেই। সব মেঘ দানা বাঁধছে মধ্য বঙ্গোপসাগরে, সৃষ্টি হচ্ছে নিম্নচাপ। আরও দুই থেকে তিনদিন উত্তাপ ছড়ানোর পর সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি ঝরাবে সাধারণ মৌসুমি বৃষ্টি প্রবাহ ‘নিলয়’।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের আকাশে মেঘ নেই। বায়ুচাপের প্রভাবে এখানে বাতাসের চাপ কম থাকায় মৌসুমি বায়ু বর্তমানে দেশের উপর নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। তাই বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রচুর রোদ ও ভ্যাপসা গরম পড়ছে। আজ-কালের মধ্যে এই অবস্থার উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই। তবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে একটি নিম্নচাপ। সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির দেখা মিলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দাবদাহের শেষে দেশের আকাশে প্রবেশ করবে মাঝারি বৃষ্টি প্রবাহ নিলয়। এর প্রভাবে আগামী ১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হবে। ’
সাগরে সৃষ্টি হতে থাকা নিম্নচাপের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। বায়ুচাপটি বেশ দূরে এবং অনেক দুর্বল অবস্থায় আছে। তাই দেশের উপকূল নিরাপদ আছে। তবে আজ দুপুরের পর থেকে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। এটি শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অথবা ২১ সেপ্টেম্বর ভোরে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে আজ দুপুরের পর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি জানান, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের ভিতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার, যা প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে নিম্নচাপ কেন্দ্রে সাগর উত্তাল আছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপটি বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই। এর প্রভাবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সারাদেশের গরমের তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ নেই। নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রামে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত রোববার নগরীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের বেশিরভাগ এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।