কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া : সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলার প্রতিটি উপজেলায় লু-হাওয়া আর প্রচণ্ড খরতাপে জনজীবন অতিষ্ঠ উঠেছে। প্রাণ যেন যায় যায় ভাব। একটু বাতাসের জন্য এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করেও লাভ হচ্ছে না। আবহাওয়ায় নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা। তারপর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং আর ভেলকিবাজীতে জনজীবন পড়েছে বেকায়দায়। ঘরে-বাইরে কোথাও গিয়ে একটু স্বস্তি খুঁজে পাওয়া ভার। আবহাওয়াবিদগণ বলছে, আগামীতে আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে অত্যাধিক ভ্যাপসা গরম আর লু-হাওয়ায় অন্যান্য উপজেলার ন্যায় উখিয়া টেকনাফ উপজেলার সর্বত্রই যেন হা-হুতাস অব্যাহত রয়েছে। বেকায়দায় পড়েছ অসুস্থ, শিশু ও বৃদ্ধ সহ নানান পেশার মানুষেরা। নানা জনের অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে।আর চরম বেকায়দায় পড়েছে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। তাদের আশানুরুপ আমন ধানের ফলন হলেও বিদ্যুতের কারনে অনেক কৃষকের ধান আধাঁ পাকাতেই আটকে আছে।
যে সব কৃষক আমন ধান কাটা শুরু করেছে তারা বিদ্যুতের অভাবে উড়াতে পারছেনা, কারন বর্তমানে উপজেলার সর্বত্রই পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং আর ভেলকিবাজীতে জনজীবন অতীষ্ট। বর্তমান এইচএসসি পরিক্ষা চলছে। ছাত্র- ছাত্রীদের পড়ালেখাসহ নানা ইলেকট্রিক সামগ্রী, বিশেষ করে কম্পিউটার ও তার আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতি নিয়ে পড়েছে ব্যবহারকারীরা বেকায়দায়। অনেক পরীক্ষার্থী রাতের বেলায় বিকল্প আলো নিয়ে খোলা মাঠে পড়া-লেখা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে এমনিতেই বর্তমান আবহাওয়ায় বেকায়দায় জনজীবন। তারপরে বিদ্যুতের যাওয়া-আসা খেলার শেষ কোথায় পথ খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ বছর গরমের প্রকোপটি বেশি। তীব্র তাপদাহে অতীষ্ট জনগণ।উখিয়া সদর হাসপাতালে রোগীদের চলছে ত্রাহী অবস্থা বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীরা আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অন্ধকারের কুপির আলোতে রোগীর স্বজনরা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে একটু খানি স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করে যেতে দেখা যায়।
এ হাসপাতালে সরকারি ভাবে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও রোগীদের কেবিনে জেনারেটরের বিদ্যুৎ দেয়া হয় না, অথচ ডাঃ নার্সদের রুমের বিদ্যুৎ সচল থাকে বলে রোগীদের অনেক স্বজন অভিযোগ করে বলেন।
তাছাড়াও লো- ভোল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে পাম্প মোটর, বোম মোটর, টিভি ফ্রীজ সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার অহরহ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাল্ব, মোবাইল ও চার্জার সহ নানান সামগ্রী।