নিউজ ডেক্স : ইটের বিকল্প ব্লক প্রস্তুতকারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকা কার্যালয়ে ‘টেকসই উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত ব্লক পরিবেশ ও কৃষিবান্ধব এবং ব্যয়সাশ্রয়ী। এ জন্য সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি কাজে প্রচলিত ইটের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনবে।’
পর্যায়ক্রমে দেশের সবাইকে ব্লকের ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্লকের সুবিধার কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এখন ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে।’
ব্লক প্রস্তুতকারীদের সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইটের পরিবর্তে ব্লক প্রস্তুতকারীদের ট্যাক্স কমানো হবে, এ কাজে কোনো প্রকার লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না। সরকার তাদের কম সুদে ঋণও প্রদান করবে।’
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ব্লক তৈরিতে কাঠ, কয়লা না পোড়ানোর কারণে ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ না হওয়ায় এটি পরিবেশবান্ধব। প্রচলিত ইট প্রস্তুতে কৃষিজমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি ব্যবহারের ফলে খাদ্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ব্লকের ব্যবহার শুরু হলে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি এবং বনজসম্পদের ব্যবহার কমে যাবে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং কার্বন নির্গমন কমার ফলে পরিবেশ সুরক্ষা পাবে।’
কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ইমেরিটাস মো. শামীম জেড বসুনিয়া, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান মুন্না, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানান্সের সাধারণ সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্মসম্পাদক অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদারসহ বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।