নিউজ ডেক্স : শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে যে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যেই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান। মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাহাজ ক্রয় বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ও চীনা কোম্পানির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে বন্দরে যে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা আজই সমাধান হবে। কাল থেকে বন্দর স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। আজকেই এর সমাধান হবে। আশা করছি, আগামীকাল থেকে বন্দর স্বাভাবিক হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমি বিষয়টি মনিটরিং করছি।’
এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিকরুর রেজা খানম ও বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চাইনিজ ইনস্টিটিউট অব মেরিন অ্যান্ড অফসোর ইঞ্জিনিয়ারিং এইচবি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বিএসসির জন্য দুটি জাহাজ ক্রয়ের লক্ষ্যে এ সমঝোতা সই হয়। চুক্তিতে সই করেন বিএসসির পক্ষে এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ও চীনা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ইয়ান জুন।
চীনের কাছ থেকে এলএনজি ক্যারিয়ার ভ্যাসেল ক্রয় করা হবে, যার প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার কিউবিক মিটার। চুক্তি সইয়ের পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে জাহাজ দুটি বিএসসির কাছে পৌঁছাবে। এ দুটিসহ বিএসসির মোট জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি।
বর্তমানে বিএসসির কাছে জাহাজ আছে তিনটি, আরও ছয়টি জাহাজ চীনা কোম্পানির কাছ থেকে ক্রয়ের পর হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে। একটি জাহাজ নিজেদের অর্থায়নে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিএসসির জন্য মোট ৩৬টি জাহাজ ক্রয় করা হবে।