নিউজ ডেক্স : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অর্থবিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে এটি হতে পারে না। বিত্ত কখনও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
যখন বিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তখন রাজনীতি বিক্রি হয়ে যায়। আমরা আমাদের রাজনীতি বিত্তের কাছে বিক্রি করতে পারি না। রাজনীতি থাকবে রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে। এটি মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, সবাই দলের কর্মী, আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একজন কর্মী হিসেবে আমরা কেউ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছি, কেউ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউ মেয়র কিংবা কাউন্সিলর ও মেম্বার হয়েছি। কিন্তু আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চারবার ও পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এই পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনে মূল কারিগর হচ্ছে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা, সংকট মোকাবেলায় তার সাহস এবং ধৈর্য একইসাথে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি। তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং বিস্তৃতির কারণেই আমরা পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকের মাঝে আলস্য এসেছে। এই আলস্য ঝেড়ে ফেলতে হবে। একই সাথে দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী, কিছু সুযোগসন্ধানী নানাভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। অনেকে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেক গভীরে পতিত। যেকারণে গত কয়েক বছরে প্রতিটি নির্বাচনে আমরা অত্যন্ত ভাল ফল করতে সক্ষম হয়েছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলই আমাদের মূল ঠিকানা, দলের কারণে আজকে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সুতারাং সবার উপরে দলীয় কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একইসাথে দলের নেতা মনোনয়ন করার সময় তাকেই গুরুত্ব দিতে হবে যিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, দলের জন্য নিষ্ঠাবান।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের দলীয় সভানেত্রীর প্রতি আস্থাশীল এবং দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছেন এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার অর্থবিত্ত থাক আর না থাক তাকেই দলে আনতে হবে। বাংলানিউজ