এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার বাসিন্দারা মারাত্মক অগ্নি ঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি লোহাগাড়ায় কয়েকটি অগ্নিকান্ড ঘটনার পর তাদের আশংকার কথা জানা যায়। যত্রতত্র খোলামেলা গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, খোলা ট্রাকে গ্যাস বিক্রি, বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা, প্রবাহমান নদী, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণ জলধার না থাকা ও অসাবধনতায় অগ্নিকান্ডের এ আশংকার মূলকারণ বলে তারা চিহ্নিত করেছেন।
সাতকানিয়া ফায়ার ষ্টেশন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর কমবেশী বিভিন্ন স্থানে ১০টির অধিক অগ্নিকান্ড ঘটেছে। কৃষকের গোয়াল ঘর ও খড়ের গাধাও বাদ যায়নি।
জানা যায়, ইতোপূর্বে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে বেআইনীভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধ করতে ভ্রাম্যমান আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, টংকাবতী, হাঙ্গর নদীতে রাবার ড্যামের ভাটিতে নদীর মোহনা পর্যন্ত কোন পানি নেই। পশুকে পান করানোর মতোও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আগুন লাগলে কি অবস্থা হবে তার জন্য আতংকগ্রস্থ এলাকাবাসী। লোহাগাড়া সদরে সর্বমোট ২১টি মার্কেট রয়েছে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সঞ্চালনের ব্যবস্থা তো নেই, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও নেই। সামনে রমজান মাস। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটলে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কোন গতি নেই বলে আলুরঘাট রোডের জনৈক ব্যবসায়ী অভিমত রেখেছেন।
লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন সংলগ্ন বোয়ালিয়া খাল, আধুনগর বাজার সংলগ্ন হাতিয়া, পাগলি, ডলুখাল প্রভৃতি শুকনো অবস্থায় রয়েছে। অবৈধ দখল ও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে চুনতি বাজার সংলগ্ন খালটিও নিচ্ছিন্ন হবার পথে। এ অবস্থায় সময় থাকতে ব্যবস্থা না নিলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটনার আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসীরা অভিমত রেখেছেন। সংশ্লিষ্টরা সময় থাকতে এগিয়ে আসবেন এমনটা প্রত্যাশা তাদের।