ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | হস্তান্তরের অপেক্ষায় লোহাগাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

হস্তান্তরের অপেক্ষায় লোহাগাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

80351033_2628135720626583_5308762393138954240_n

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। প্রতিটির পেছনে ২ কোটি ৫০ লাখ হিসেবে এসব কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অভিন্ন নকশায় চারতলার পরিপাটি ভবন গড়ে তোলার কথা জানালেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এসব কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে।

এলজিইডি থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৫ উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন এসব প্রকল্পে ইতোমধ্যে আটটিতে কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ভবন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়। বাকি ৭ উপজেলায় বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে এ প্রকল্প। এ উপজেলাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে আবার কাঙ্ক্ষিত জমি পাওয়া নিয়ে জটিলতা রয়েছে। – দৈনিক আজাদী

সরেজমিনে দেখা যায়, লোহাগাড়া উপজেলা এলাকায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে চারতলার পরিপাটি ভবন। ভবনের বাইরে শোভা পাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশালাকৃতির ছবি। ভবনের ভেতরে বাইরে সাজানো গোছানো। দৃষ্টিনন্দন নকশা। এ ভবনের মতো অভিন্ন নকশায় নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনগুলো যেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শাণিত চেতনা ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি হয়ে দ্যুতি ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদ কমান্ডের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব শামসুর রহমান জানান, এ ধরনের কমপ্লেক্স নির্মাণের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানুষের চর্চায় জাগ্রত থাকবে। সমাজে এর সুদূর প্রসারি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। যা ছড়িয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

এলজিইডি থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বর্তমান সরকার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায়ও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আটটির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি ভবন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকিগুলোর কাজ চলমান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এ বিষয়ে এলজিইডি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাজ সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছয়টি ভবনের সৌন্দর্যবর্ধনসহ সামান্য কাজ বাকি আছে। বাকি কাজ শেষ করে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে শীঘ্রই। তিনি আরো বলেন, মহানগরীতেও একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়। কিন্তু এখনো উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়নি। জায়গা পেলে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাব।

এলজিইডির তথ্য মতে, নির্মাণ কাজ শেষে ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে রাউজান এবং হাটহাজারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছে লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, রাঙ্গুনিয়া ও মীরসরাই উপজেলার ভবনগুলো কাজ চলমান আছে বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের। তবে জায়গা সংকটের কারণে চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি ও কর্ণফুলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা যায়নি। প্রতিটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় সাত শতক জায়গা। পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের ভবনে প্রতিটি ফ্লোর আড়াই হাজার বর্গফুটের। ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার বাণিজ্যিক ব্যবহার, তৃতীয় তলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় ও সম্মেলন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ভবনে থাকছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য বিশেষ সুবিধা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!